Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শনির দশা কাটছে না লোহাগাড়ার দরবেশহাট ডিসি সড়কের

| প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম


লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা: দৈনিক প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম লোহাগাড়া দরবেশহাট ডিসি সড়কের শনির দশা যেন কাটছেই না। দীর্ঘ ২ বছর ভাঙ্গা রাস্তায় যন্ত্রনাদায়ক চলাচল করে আসছে লোহাগাড়াও বান্দরবান এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষ। সম্প্রতি সড়কটি মেরামতের জন্য এলজিডি কর্তৃক সাড়ে ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে সড়কটিতে মেরামতের নামে চলছে ব্যাপক অনিয়ম। ধূলাবালি পরিস্কার না করেই চলছে কার্পেটিং। ব্যবহার করা হচ্ছে পুরাতন পাথর। মিশ্রনে ত্রæটির কারনে ইতিমধ্যে মেরামত করা অংশের উচুনীচু স্তরের তৈরি হয়েছে। বর্ষায় এসব উচু নীচু স্তরে পানি জমে রাতারাতি গর্ত হয়ে কার্পেটিং উঠে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। কারন বিগত দিনেই একই কায়দায় সড়কটি মেরামতের কারনে বছর যেতে না যেতেই কার্পেটিং উঠে যায়। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল সড়কটি মেরামতের কাজ বরাবরই কাশেম কন্সট্রাকশনের হাতেই থাকে। এই ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের আওতায় এই সড়কটি যতবারই মেরামত হয়েছে ততবারই দুর্নীতি ও অনিয়ম করা হয়েছে। এদিকে সড়কের দুইপাশে নতুন মাটি ভরাট ছাড়াই কার্পেটিং করায় ধসে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির কালো পুরাতন কার্পেটিং উঠিয়ে সেই পাথর দিয়ে চলছে সংস্কার। পুরো ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির মধ্যে ১০ কিলোমিটারে কোথাও নতুন পাথর না দিয়ে ইতিমধ্যে কার্পেটিং শেষ করেছে। বাকী ১০ কিলোমিটারের কাজও একই নিয়মে চলছে। কাঙ্খিত মাত্রার বিটুমিন ও ব্যবহার করা হচ্ছে না। আবার সড়কে ব্যবহৃত কার্পেটিংয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় উত্তপ্ত করা হচ্ছে। এই বিটুমিন ব্যবহারের কারনে মেরামতের দু চারদিন যেতে না যেতেই সড়কটি উচু নিচু হয়ে পড়ছে। যার কারনে বর্ষায় এসব জায়গায় পানি জমে সড়কটি ভেঙ্গে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী প্রতিপদ দেওয়ানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,সড়কটি লেভেলিং করার নিয়ম এরকমই। তবে উপরে খোয়া দেওয়া হচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ