পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে কিনা এই ভয়ে সরকার সভা-সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার আমাদের কোথাও কোনো অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয় না। না দেয় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে, না দেয় আমাদের অফিসের সামনে খোলা জায়গায়, না দিচ্ছে মহানগর নাট্যমঞ্চে। কেন দিচ্ছে না? ভয়। পাছে এই অনুষ্ঠানে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে। এই ভয়ে তারা আমাদের সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গতকাল (সোমবার) বিকেলে নয়া পল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো যিনি (খালেদা জিয়া) কারাগারে বসে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে চলছেন তাকে আমরা বলছি মাদার অফ ডেমোক্রেসি, গণতন্ত্রের মাতা। দেশ মাতা। নিজের জন্য তিনি চিন্তা করেননি, দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্রের জন্য এই ত্যাগ স্বীকার করছেন। আজকে জীবনের শেষ সায়াহ্নে এসে এখনো তিনি বলছেন আমি প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না, আমি সরকারে যেতে চাই না, কিন্তু আমি আমার দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই। ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই। সেজন্য আমরা এই কথাগুলো ভারাক্রান্ত হয়ে বলছি।
সরকার ভয় পেয়ে উন্মুক্ত জায়গায় বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, উন্মুক্ত স্থানে তো আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে যাওয়ার ক্ষেত্রেও। এখন আমাদের জিয়াউর রহমানের মাজারে পিছন দিক দিয়ে ঢুকতে হয়, সামনে দিয়ে ঢুকতে পারি না! কেনো? এই অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী সেখান দিয়ে যাতায়াত করছেন। আমাদেরকে গাড়ি দিয়ে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না, আমরা হেঁটে গেছি। কিন্তু এই বাধা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়েও লাখো মানুষ আজকে (গতকাল) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে উপস্থিত হয়েছেন। মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার প্রাণপণ চেষ্টা করছে বিএনপি যেন নির্বাচনে না আসে। যে বছর নির্বাচনের বছর, এতো নির্যাতন-নিপীড়নের পরও বলছি আমরা একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে চাই, আমরা যখন বলছি একটা সঠিক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে, তাহলে আমরা নির্বাচনে যাবো। সেই বছরে যিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন, তাকে আপনারা (সরকার) জেলে নিয়ে পুরলেন। তার অর্থ কি? বিএনপি যেন নির্বাচনে না আসে, বেগম জিয়া, তারেক রহমান সাহেবকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে হবে! আমাদের ১৮ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ কি, এই ১৮ লাখ নেতা-কর্মী যেন নির্বাচনে কাজ না করতে পারে। চলমান আন্দোলন সংগ্রামের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সংগ্রাম আমাদের বাঁচা-মরার সংগ্রাম, এই সংগ্রাম আমাদের অস্তিত্বের সংগ্রাম। দেশনেত্রী জেলে, আমাদের অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান সাহেব নির্বাসিত বিদেশে। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে এই আন্দোলন-সংগ্রাম করছি। নির্যাতন-অত্যাচার করার পরও সাধারণ নেতা-কর্মীরা বিএনপি ছেড়ে যায় না, গেলেও বড়জোড় দু-একজন যায়। কিন্তু তারা আবার বিএনপিতে না ফিরে এলে জনগণ গ্রহণও করে না। এটাই আওয়ামী লীগের ভয়। এসময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও চিত্রনায়ক আশরাফ হোসেন উজ্জল, জাসাসের সভাপতি মামুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও অভিনেতা হেলাল খান, সিনিয়র সহসভাপতি বাবুল আহমেদ, সহসভাপতি ও কণ্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভীন, উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক মীর ছানাউল হক, অভিনেতা শিবা শানু প্রমুখ।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।