বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুনামগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা: আগামী ২৯ মার্চ সুনামগঞ্জ পৌরসভার উপনির্বাচন। শেষ প্রচারনায় প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এর মধ্যে সাবেক মেয়র মরহুম আয়ুব বখত জগলুরের ছোট ভাই নাদের বখত আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে দেওয়ান সাজাউর রাজা সুমন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেওয়ান গনিউল সালাদীন মোবাইল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জ পৌর এলাকা প্রার্থীদের পোষ্টার ও ব্যানারে ছেয়েগেছে। পৌর এলাকার সকল রাস্তায় এই তিন প্রার্থীর পোষ্টার, ব্যানার শোভা পাচ্ছে। প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে পৌরবাসীর খেদমত করতে চাচ্ছেন। পৌরবাসীর সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চান তারা। সে লক্ষ্যে তারা পোষ্টারে দৃষ্টি আকৃষ্টমুলক মধুর কথা লিখে ভোটারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন। মাইকিং প্রচারনাতো রয়েছেই। প্রার্থীদের নামের সাথে শ্রæতিমধুর বিশেষণ লাগিয়ে গানের সুরে পাড়ায় মহল্লায় মাইক দিয়ে প্রচারনা করছেন। দেওয়ান গনিউল সালাদীন ও দেওয়ান সাজাউর রাজা সুমন হাসন রাজা পরিবারের সদস্য। তারা পরিবারের ঐতিহ্যকে কাজে লাগিয়ে এবং ব্যক্তিগত ইমেজ ব্যবহার করে বিজয়ী হওয়ার চেষ্টা করছেন। দেওয়ান গনিউল সালাদীন এর আগে গত নির্বাচনে পৌরসভায় প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। কিন্তু দেওয়ান সাজাউর রাজা সুমন এবং নাদের বখত এর আগে কোন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেননি। সে হিসেবে দেওয়ান গনিউল সালাদীন পৌরবাসীর নিকট পরিচিত মুখ। পাড়ায় ও মহল্লায় তার পরিচিতি রয়েছে। তাছাড়া পারিবারিকভাবে তিনি একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। সবাই তাকে চেনেন। ভদ্রতা ও ন¤্রতার কোন ঘাটতি নেই তার। সততার দিকেও সাদা মনের মানুষ । তাছাড়া তার এক ভাই দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আরেক ভাই সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মরহুম মমিনুল মউজদীনের একটি ব্যক্তিগত ইমেজ রয়েছে শহরে। সালাদীন সেটাকেও কাজে লাগাচ্ছেন। বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লার যুবক ছেলেরাও তার জন্য কাজ করছেন বলে জানা গেছে। অপর দিকে দেওয়ান সাজাউর রাজা সুমন নির্বাচনী মাঠে নতুন হলেও পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে তার। সে দিক থেকে ভোটাররা তাকে মূল্যায়ন করার সুযোগ রয়েছে। সুমন রাজার আরো একটি গুন রয়েছে সবসময় হাস্যজ্জ্বোল দেখা যায় থাকে। তাই যদি দলের সকল ভোটের পাশাপাশি সাধারন ভোটারের ভোট তার বাক্সে পড়ে তবে তিনি কামিয়াব হতে পারেন। আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী নাদের বখত শহরের একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। তার বাবা হোসেন বখত ছিলেন এই শহরের সুপরিচিত ব্যক্তি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ছিল তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্বের সংগঠক। সুনামগঞ্জ শহরের এক সাহসী মানুষ ছিলেন মরহুম হোসেন বখত। নাদের বখতের ভাই সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মনোয়ার বখত নেক ও সাবেক মেয়র মরহুম আয়ুব বখত জগলুল সুনামগঞ্জ পৌরসভাকে আধুনিক পৌরসভা গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। সে লক্ষ্যে তারা কাজ করে গেছেন । নাদের বখত তার বাবা , ভাইদের ও পারিবারিক ইমেজ ভোটের মাঠে কাজে লাগিয়ে যাচ্ছেন। তার পক্ষে ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন শহরের বিভিন্নস্থানে প্রচার প্রচারনায় অংশ নিয়েছেন । তাছাড়া স্থানীয় দলের নেতারা তার জন্য ভোট প্রাথর্নায় কাজ করছেন। তিন প্রার্থীই খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন । তাদের ফুরসত নেই। হাতে সময়ও নেই । তিন প্রার্থীই শেষ চেষ্টায় ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। এখন দেখার বিষয় ২৯ মার্চ কার ভাগ্যে বিজয়ের মালা জুটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।