Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লোহাগড়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই এসআইসহ আহত ৪

| প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

লোহাগড়া (নড়াইল) উপজেলা সংবাদদাতা : নড়াইলের লোহাগড়ায় মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে চার আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার গভীর রাতে উপজেলার লক্ষীপাশা ইউপির আমাদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় চার পুলিশ কর্তকর্তা আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত পুলিশ কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই গোবিন্দ, এএসআই আনিসুজ্জামান, কাজী বাবুল ও খান বাবুলকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ জানায়, রোববার রাতে পুলিশ আমাদা গ্রামে দাঙ্গা-হাঙ্গামা মামলার আসামি গ্রেফতার করতে যায়। পুলিশ জানতে পারে আসামিরা পাশের কামালপ্রতাপ গ্রামে মাছের ঘেরে ঘুমিয়ে আছে। এ সময় আলী আহম্মেদ খানের ছেলে রাঙ্গু খান (২৭), অহিদার খানের ছেলে নাইস খান (২৫), গ্রামপুলিশ দাউদ মল্লিকের ছেলে সোহেল মল্লিক (২৩) ও মন্টু মল্লিকের ছেলে সোহেল মল্লিককে (২০) গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় আমাদা পশ্চিমপাড়া মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা করা হয়, গ্রামে ডাকাত আসছে। এ ঘোষণায় আসামিপক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। হামলায় লোহাগড়া থানার এসআই গোবিন্দ, এএসআই আনিসুজ্জামান, কাজী বাবুল ও খান বাবুল গুরুতর আহত হয়। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, চার পুলিশ কর্মকর্তাকে আহত করে আসামি ছিনতাই করে নেয়া হয়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শর্টগানের চার রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোহাইমিন জিসান বলেন, গতকাল ভোরে আহত অবস্থায় চার পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। জানা যায়, প্রায় আট মাস ধরে লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবুল কাশেম খান এবং প্রতিপক্ষ আলী আহম্মেদ খানের সমর্থকদের মধ্যে দ্ব›দ্ব সংঘাত চলে আসছে। গত দুই মাসে আমাদা গ্রামে দুইপক্ষের মধ্যে চারবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুরসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়।


যশোরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত লিটন মারা গেছে
যশোর ব্যুরো : যশোরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত লিটন হোসেন (২৬) মারা গেছেন। রাত আড়াইটার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে যশোর-খুলনা মহাসড়কের ফুলতলায় অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে তিনি মারা যান। এর আগে রোববার রাত পৌনে আটটার দিকে শহরের শেখহাটি জামরুলতলা এলাকায় লিটন ছুরিকাহত হয়েছিলেন। তিনি জামরুলতলার আমিনুর রহমানের ছেলে।
বাবা আমিনুর রহমান ও ফুপাতো ভাই প্রিন্স হোসেন জানান, এলাকার আল আমিনের ছেলে সুমনের সঙ্গে লিটনের শত্রæতা ছিল। সুমন তাকে খুন করবে বলেও হুমকি দিয়েছিল। রোববার রাতে লিটন বাসা থেকে বের হয়ে পাশেই জামরুলতলা মোড়ে যায়। এসময় সুমন তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরি মারে। লিটনের চিৎকার শুনে বাসা থেকে বের হয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। খুলনা নেওয়ার পথে ফুলতলায় অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে লিটন মারা যান।যশোর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য কাজী আলমগীর হোসেন জানান, একই এলাকার আল আমিনের ছেলে সুমনসহ কয়েকজনের একটি মাদক চক্র আছে। তারা এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। ওই চক্রটি নিয়ন্ত্রণ করে সুমন। লিটন হোসেন ছিলেন প্রতিবাদী। তিনি এলাকায় মাদক কেনাবেচায় বাধা দিতেন। এই নিয়ে সুমনের সঙ্গে লিটনের বিরোধ ছিল। লিটনকে হত্যা করবে বলে সুমন কয়েকবার হুমকিও দিয়েছিল। সুমন ৫-৬ মাস আগে লিটনের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়, ল্যাপটপও কেড়ে নেয়। এইসব কারণে লিটন খুন হয়েছেন।
কোতয়ালী থানার ইনসপেক্টর (অপারেশন) শামসুদ্দোহা বলেন, ‘লিটন হোসেন হত্যাকান্ডে জড়িতদের পুলিশ মোটামুটি চিহ্নিত করতে পেয়েছে। আসামি আটকের স্বার্থে তাদের নাম বলা যাবে না। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযানে আছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ