বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাউজান (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : এশিয়াখ্যাত হালদা নদী থেকে ডিম আহরণের জন্য শত শত রেণু সংগ্রহকারীরা নদীপাড়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। কাল-পরশু বজ্রসহ বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলের দেখা দিলে মা-মাছ যেকোন সময় ডিম ছাড়তে পারে এমন আশা হালদার ডিম সংগ্রকারীদের। গত বৃহস্পতিবার রাতে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলেও মা-মাছ ডিম ছাড়েনি। তবে মা-মাছের আনাগোনা বেড়েছে। আজ ২ এপ্রিল হালদা নদী এলাকায় সরেজমিন গেলে ডিম সংগ্রাহতদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টি আর প্রচুর পাহাড়ী ঢল দেখা দিলে মা-মাছ ডিম ছাড়তে পারে। তারা জানান, কোন সময় পাহাড়ী ঢল আসছে আর বৃষ্টি হচ্ছে সেটি নিশ্চিত করে বলা না গেলেও আমাদের আশা কাল পরশুর মধ্যে মা-মাছ ডিম ছারতে পারে। আর সে জন্য আমরা হালদার পাড়ে অপেক্ষায় আছি। রাউজানের অংকুরিঘোনা, মেখল সুইটগেইট ও হাটহাজারী গড়দোয়ারা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অনেক ডিম সংগ্রহকারীকে তাদের ব্যবহৃত নৌকাসহ অন্যান্য সরঞ্জমাদি ঠিকটাক করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকা আর জাল নিয়ে নদীর পাড়ে অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে হালার দুই পাড়ে জেলে পরিবারের অনেকেই প্রতিবছর অপেক্ষায় থাকেন হালদার রেনু সংগ্রহের আশায়। সেই কারণে গত কয়েকদিন থেকে শত শত রেণু সংগ্রহকারীরা হালদার দুই ধারে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, বৃষ্টির পর পাহাড়ী ঢল হালদা নদীতে গড়িয়ে পড়লেই মা-মাছ ডিম ছাড়তে পারে। সবকিছু নির্ভর করবে বৃষ্টির উপর। ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, এখন নদীতে কোন ঢল নেই তবে প্রচুর মা-মাছের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। তারা প্রতিবছরের ন্যায় এই বৎসরও ডিম সংগ্রহের জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। শনিবার বিকেলে এই রির্পোট লেখার সময় বৃষ্টির মোটামুটি আলামত দেখা যাচ্ছিল। নদী পাড়ে ডিম সংগ্রহকারীরাও অধির আগ্রহে আছেন কখন বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢল আসছে। সব মিলিয়ে হালদা নদীর দুই পাড়ে ডিম সংগ্রহকারীদের আশা দুই একদিনের মধ্যে তাদের চাহিদামত মা-মাছেরা ডিম দেবে আর তারা রেণু সংগ্রহ করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।