বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : লাইন মেরামত করতে গিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাসিবুল আলম (৪০) নামে নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক লাইনম্যানের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। গতকাল দুপুরে নরসিংদী শহরে চৌয়ালা শিল্প এলাকায় এই বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত লাইনম্যান হাসিবুলের বাড়ী কুষ্টিয়া জেলার মীরপুর উপজেলার আমবাড়ী গ্রামে বলে জানা গেছে। তার পিতার নাম আজিজ মিয়া।
বিদ্যুৎকর্মীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২’র শত শত কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। সহকর্মীকে একনজর দেখার জন্য শত শত বিদ্যুৎকর্মী হাসপাতালে ভীড় জমায়।
জানা গেছে, নিহত মো: হাসিবুল আলম নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২’র একজন লাইনম্যান। দীর্ঘদিন ২ দশকাধিককাল ধরে সে নরসিংদীতে বিদ্যুৎকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিল। গতকাল দুপুরে সে শহরের চৌয়ালা শিল্প এলাকার রাব্বী টেক্সটাইল মিলের লাইন মেরামত করতে যায়। বিদ্যুতের খুটিতে উঠে কাজ করার সময় হঠাৎ নিকটবর্তী ১১ হাজার ভোল্টে বৈদ্যুতিক তারের সাথে তার সংযোগ ঘটে। এতে সে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নরসিংদী পল্লী সমিতির এজিএম (্প্রশাসন) নেজামুল ইসলাম বলেছেন, ভিন্ন কথা। তিনি জানিয়েছেন, হাসিবুল রাব্বী টেক্সটাইল মিলের একটি মিটারে সিপিটিপি সিল মারতে গিয়ে এক দেয়াল থেকে আরেক দেয়ালে যাবার সময় মাটিতে পড়ে মারা যায়। নরসিংদী সদর হাসপাতালের আরএমও সৈয়দ আমিরুল হক শামীম জানিয়েছেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সে উচু থেকে নীচুতে পড়ে মাথায় মারাত্মক আঘাত পায়। আর এতে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। গতকালই নিহত আজিজ মিয়ার লাশ তার গ্রামের বাড়ী পাঠানো হয়েছে।
দিন-দুপুরে দুই কলেজ শিক্ষককে অপহরণ
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর চারঘাটে গতকাল সকালে অনুপম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ডাকরা কলেজের দুই কলেজ শিক্ষককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অপহৃত দুই কলেজ শিক্ষক হলেন চারঘাটের রায়পুর গ্রামের আসমত আলীর ছেলে ডাকরা ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বজলুল ইসলাম এবং ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক শফিকুর রহমান উজ্জল।
ডাকরা কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রউফ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, গতকাল সকালে কলেজের ক্লাস শেষে মোটরসাইকেল যোগে চারঘাটে যাচ্ছিলেন শিক্ষক বজলুল ইসলাম ও শফিকুর রহমান। তারা চারঘাট-আড়ানী সড়কের অনুপমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কালো রংয়ের মাইক্রোবাসে থাকা কয়েকজন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের পথরোধ করে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের ওই মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে চলে যান। এরপর থেকেই তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি মৌখিকভাবে চারঘাট মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কলেজের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনার সময় তিনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় দেখা যায় একটি কালো মাইক্রোবাসে ওই দুই শিক্ষককে তোলা হচ্ছে। আর তাদের মোটরসাইকেলটি সেখানেই রেখে দেওয়া হচ্ছে। এতে তার সন্দেহ হলে তিনি মাইক্রোবাসের কাছে যেতেই মাইক্রোবাসের একজন তাকে হাতের ইশারায় যেতে নিষেধ করেন। এরপরই দুই শিক্ষককে মাইক্রোবাসে করে চারঘাটের দিকে নিয়ে চলে যায় তারা। মাইক্রোবাসের সামনে একটি মোটরসাইকেলও ছিল। এ ঘটনার পর তিনি বিষয়টি কলেজ প্রিন্সিপালকে জানান। অপহৃত কলেজ শিক্ষক বজলুর রহমানের ছোট ভাই মোজাহেদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই গ্রামের বাড়িতে থাকতেন না। তিনি সারদা এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।’ অপহৃত আরেক কলেজ শিক্ষক শফিকুর রহমান উজ্জলের ছোট ভাই মিলন জানান, তার ভাইকে ঠিক কি কারণে, বা কারা উঠিয়ে নিয়ে গেছেন, তা তিনি জানেন না। রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) খালিদ হোসনে বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে গোয়েন্দা পুলিশ তাদের আটক করেনি বলে নিশ্চিত করেছেন।
চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই কাজ শুরু করছি। সম্ভাব্য সব জায়গায় তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’ রাজশাহী র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম জানান, র্যাব এ ধরনের কোন অভিযান ওই এলাকায় পরিচালনা করেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।