পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রশাসনের প্রাণ কেন্দ্র সচিবালয়ে ৫৭টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধীনস্থ সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার বিশাল ব্যানার নিয়ে গায়ে বর্ণিল টি-শার্ট, মাথায় ক্যাপ হাতে হাতে, ব্যানারে শ্লোগান- অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ। শোভাযাত্রাসহ সবাই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গেছেন। আর সচিবালয়ে মাইকিংক করা হয়। বলা হয় তিনটার পরে কোন সরকারি কর্মকতা ও তাদের গাড়ী সচিবালয়ে প্রবেশ করবে না এবং বের হবে না। শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই সচিবালয়ে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ছিল ছুটির আমেজ। অফিসে এসে শোভাযাত্রার আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। অনেককে শোভাযাত্রার গেঞ্জি গায়ে পড়ে সচিবালয়ে ঘুরছেন। এ মিছিলের অজুহাত দিয়ে বেশির ভাগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং সচিবরা অফিসে আসেননি। এদিকে এক এক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এক এক গেট দিয়ে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি উদযাপনে সরকারিভাবে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ৫৭টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধীনস্থ সংস্থার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় সুসজ্জিত বাদকদল। শোভাযাত্রার বিশাল ব্যানার নিয়ে গায়ে বর্ণিল টি-শার্ট, মাথায় ক্যাপ দিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে হাতে শোভা পাচ্ছে ফেস্টুন। টি-শার্টে, ব্যানারে শ্লোগান-অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ। শোভাযাত্রাসহ সবাই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রবেশ করবেন বেলা ৩টা স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় লেজার শো ফায়ারওয়ার্কসহ ২-৩ ঘণ্টার একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানটি সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ৯টি স্পটের মধ্যে রয়েছেÑ বাংলা একাডেমি ও সংলগ্ন এলাকা, শিল্পকলা একাডেমি ও মৎস্য ভবন সংলগ্ন এলাকা, শিশু একাডমি ও দোয়েল চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন এলাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠ ও সংলগ্ন এলাকা, নগর ভবন, বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বর, রমনা পার্কের দক্ষিণ-পূর্ব অংশ এবং শিল্প ভবন চত্বর। কোন পয়েন্টে কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়ো হয়ে কোন রুটে দিয়ে প্রবেশ করবেন তাও চিঠিতে নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই সচিবালয়ে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ছিল ছুটির আমেজ। অফিসে এসে শোভাযাত্রার আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। অনেককে শোভাযাত্রার গেঞ্জি গায়ে পড়ে সচিবালয়ে ঘুরছেন। এ ছাড়া বেশির ভাগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং সচিবরা অফিসে আসেননি। এদিকে দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধীনস্থ সংস্থার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্ধারিত স্পটের দিকে পায়ে হেঁটে যাওয়া শুরু করেন। এক এক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এক এক গেট দিয়ে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে। বাংলা একাডেমি ও সংলগ্ন এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সেতু বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া বাংলা একাডেমি, দোয়েল চত্বর, আব্দুল গণি রোড, জিপিও হয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পশ্চিম গেট দিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে বলা হয়। শিল্পকলা একাডেমি ও মৎস্য ভবন সংলগ্ন এলাকায় সমবেত হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিশু একাডেমি ও দোয়েল চত্বর সংলগ্ন এলাকা হয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামের পশ্চিম গেট দিয়ে প্রবেশ করতে বলা হয়। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পল্টন হয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উত্তর গেট (মশাল গেট) দিয়ে প্রবেশ করতে বলা হয়। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান শেষে সরকারি কর্মকর্তাদের অনেক দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছেন বলে তারা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে যোগদান করেছেন ড. জাফর আহমেদ খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।