পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নরসিংদী থেকে স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্য সহকারী পদে কর্মরত লোকমান নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও তার গডফাদারদের হুমকির মুখে সার্বক্ষণিক আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন রায়পুরার বরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তাহমীনা আক্তার কাকলী। গত ১৩ মার্চ বরচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে লোকমান ও তার সতীর্থ সন্ত্রাসীদের হামলা ও ভাঙচুর ঘটনার পর প্রধান শিক্ষকসহ স্কুলের ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকদের মধ্যে এই ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নরসিংদী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও) সমাবেশে নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের সামনে স্বাস্থ্য সহকারীর এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ দেয়ার পরও সিভিল সার্জন সুলতানা রাজিয়া লোকমানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। গত রোববার জেলার মাসিক সমন্বয় সভায় খোদ জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন সরাসরি স্বাস্থ্য সহকারী লোকমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সিভিল সার্জনকে পরামর্শ দেয়ার পরও তিনি বিষয়টি কানে তুলছেন না। উপরন্তু তিনি তার স্বাস্থ্য সহকারী লোকমানকে রক্ষা করার জন্য উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিচ্ছেন।
জানা গেছে, রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের বরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তাহমীনা আক্তার কাকলী স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির পরামর্শক্রমে গত ১৩ মার্চ স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ক্রীড়ানুষ্ঠান চলাকালে উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম লোকমান তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে স্কুলে গিয়ে হামলা চালায়। লোকমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী প্রথমে প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করে। এক পর্যায়ে তারা ক্রীড়ানুষ্ঠানের মঞ্চ, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি ভাঙচুর করে ক্রীড়ানুষ্ঠান পন্ড করে দেয়। দীর্ঘক্ষণ লোকমান ও তার বাহিনী তান্ডব চালিয়ে প্রধান শিক্ষকাসহ সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যায়। স্বাস্থ্য সহকারী লোকমান রায়পুরা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তথা রায়পুরার একজন প্রভাবশালী রাজনীতিকের সহচর হিসেবে কাজ করায় কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। গত রোববার জেলার মাসিক সমন্বয় সভায় নবাগত জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন স্ব-প্রণোদিত হয়ে বিষয়টি উত্থাপন করে অতি সত্বর স্বাস্থ্যকর্মী লোকমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিভিল সার্জনকে পরামর্শ দেন। কিন্তু এরপরও দুদিন কেটে গেছে সিভিল সার্জন সুলতানা রাজিয়া, স্বাস্থ্যকর্মী লোকমানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। এ ঘটনা জানাজানি হবার পর সারা রায়পুরা ও নরসিংদীতে তোলপাড় শুরু হলে স্বাস্থ্যকর্মী ও ছাত্রলীগ নেতা লোকমানের রাজনৈতিক গডফাদাররা প্রধান শিক্ষিকা কাকলীকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা একদিকে লোকমানকে নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার কাছে নিয়ে থেকে ক্ষমা প্রার্থনার ছল করছেন। অপরদিকে, ফোনে বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষিকাকে ঠান্ডা হুমকি দিচ্ছে। জেলার মাসিক সমন্বয় সভায় স্বয়ং জেলা প্রশাসক পরামর্শ দেয়ার পরও লোকমানের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হচ্ছে না মর্মে প্রশ্ন করা হলে সিভিল সার্জন সুলতানা রাজিয়া জানান, ‘লোকমানের বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ তিনি পাননি’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।