পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটি, মালিক সমিতি, কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন ও মার্কেটের পরিচালনা কমিটিকে মশক নিয়ন্ত্রণে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা করেছে ডিএনসিসি। গতকাল সোমবার দুপুরে ডিএনসিসি মিলনায়তনে ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ ওসমান গণির সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় একটি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এতে জানানো হয়, দুই সিটির ৯৩টি ওয়ার্ডে দুই হাজার বাসায় জরিপ করে উত্তরের ৪১টি ও দক্ষিণের ৫৯টি পয়েন্টে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উত্তর সিটির ১১টি পয়েন্টেই বেশি লার্ভা।
জরিপ প্রতিবেদনে মশক নিধনে কতগুলো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তবগুলো হলো- পরিবেশ অক্ষুন্ন রেখে মশক নিয়ন্ত্রণের সর্বোত্তম পন্থা সোর্স রিডাকশন করা। খাল-নর্দমার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বজায় রাখা এবং জলাশয়-ডোবা পরিস্কার রাখা। এজন্য সংশিষ্ট সংস্থা রাজউক ওয়াসাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। নির্বাচিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ড্রেন-নালার ওপরে অস্থায়ী অবৈধ দোকান ও স্থাপনাসমূহ উচ্ছেদ করতে হবে। এছাড়াও বর্জ্য ও প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের নির্মাণাধীন নর্দামা পরিস্কার করে পানির প্রবাহ সচল রাখতে হবে।
মশক নিধনে নানামুখী কর্মসূচি নিলেও কোনোভাবেই মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না ডিএনসিসি। কেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না? এ প্রশ্ন উঠেছে ডিএনসিসির মশক নিধন কার্যক্রম সংক্রান্ত এ মতবিনিময় সভায়।
বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মালিক সমিতি, কল্যাণ সমিতি, হাউজিং সোসাইটির নেতারা সভায় তাদের বক্তব্য ও বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে ধরেন। আলোচনায় বেরিয়ে আসে যত রকমের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে, তার প্রায় সবই বিফলে যাচ্ছে।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মশক নিধন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চারটি ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হয়েছে। ডিএনসিসিতে ২৮১ মশক নিধন কর্মী কাজ করছেন। ৩১৬টি ফগার মেশিন ও ১০টি হুইল ব্যারো মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। ২ হাজার ১৫৩ বিঘা ডোবা-জলাশয়ের কচুরিপানা ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডোবা-নালা, জলাশয় ও অন্যান্য মশার প্রজননস্থলে লার্ভিসাইড ওষুধ স্প্রে করা হয়। এছাড়া সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সূর্যাস্তের একঘণ্টা আগে থেকে একঘণ্টা পর পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ফগার মেশিনের সাহায্যে উড়ন্ত মশা নিধন করা হয়।
বাস্তবে এসব কার্যক্রমের কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্ন উঠে আসে মতবিনিময়ে অংশ নেওয়া আমন্ত্রিতদের বক্তব্যে।
উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সভাপতি ডা. মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১১ নম্বর সেক্টরের মধ্যে বেশ কিছু ফাকা প্লট রয়েছে। সেখানে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা থেকে মশা বাড়ছে। হোটেলগুলোর ফেলে রাখা ময়লা থেকেও মশার বংশবিস্তার ঘটে। ১০ এবং ১১ নম্বর সেক্টরের মধ্যে আব্দুল্লাহপুর খালে মশার জন্ম হয় উল্লেখ করে সেটি বর্ষার আগে পরিষ্কারের দাবি জানান তিনি।
উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ড্রেনের ওপর থাকা টঙ ঘর উচ্ছেদে গত সমন্বয় সভায়যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। দ্রæত এগুলো উচ্ছেদ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ওসমান গনি বলেন, আমাদের জনবল কম। তারপরও যে জনবল ও যন্ত্রপাতি আছে তা দিয়ে জনগণের সেবা করার চেষ্টা করে যাবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র-২ জামাল মোস্তফা, প্যানেল মেয়র-৩ আলেয়া সরোয়ার ডেইজী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাকির হাসান, মশক নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. জিনাত আলী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।