পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার:
রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবমাননাকারী ও বাল্যবিবাহ বিরোধীদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড, ঢাকেশ্বরী মন্দির কমিটির মুসলমানদের জমি দখলের চক্রান্ত বন্ধ, শিক্ষানীতি ২০১০ ও বিতর্কিত শিক্ষা আইন বাতিল, অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল এবং হাতিরঝিলসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মসজিদ ভাঙ্গা বন্ধ, ঢাকা শহর বিকেন্দ্রীকরণ আইনসহ ১০ দফা দাবীতে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১৩টি সংগঠন আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঢাকেশ্বরী মন্দির কর্তৃক বাবরী মসজিদ ষ্টাইলে মুুসলমানদের সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা রুখে দাঁড়াতে হবে। ভারতে দেবোত্তর সম্পত্তি, মন্দিরের সম্পত্তি ইত্যাদি বিভিন্ন নামে বাবরী মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদ যেভাবে ভেঙে দখল করা হয় একই ষ্টাইলে বাংলাদেশে মসজিদ-মাদরাসা ও মুসলমানের সম্পত্তি দখলের কূটচাল শুরু করেছে এদেশীয় কুচক্রী সাম্প্রদায়িক হিন্দুরা। গেন্ডারিয়ায় মুসলমানদের মসজিদকে দেবোত্তর সম্পত্তির নামে দখলের অপতৎপরতা চালানোর পর এবার কথিত দেবোত্তর সম্পত্তির নামে মিথ্যাচার করে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের আশেপাশের মুসলমানদের জমি দখলের চক্রান্ত করছে মন্দির কমিটি।
বক্তারা বলেন, মামলায় বারবার হেরে যাওয়ার পর এখন মুসলমানদের সেই সম্পত্তিকে দেবোত্তর সম্পত্তির ঢেকুর তুলেছে ঢাকেশ্বরী কর্তৃপক্ষ। অথচ দেওয়ানী মামলা নং ২৯/৬৯, ভ‚মি আপীল বোর্ডে দো-তরফা শুনানী, সিটি জরিপে দো-তরফা শুনানী, অতঃপর হাইকোর্টে রিভিসন ও রিভিউ মামলা, সুপ্রিমকোর্টে ৩৬/৯৬ নং সিভিল আপিল সব মামলায় হেরে ও ব্যর্থ হয়ে মন্দির কমিটির লোকেরা নালিশা জায়গাকে দেবোত্তর সম্পত্তি বলে দাবি করে জোড়পূর্বক দখল ও সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রদর্শনসহ হুমকী দেয়া শুরু করেছে। তারা ভক্ত এবং প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস চালাচ্ছে। অথচ মামলার শুনানীতে কখনো দেবোত্তর সম্পত্তির নাম উচ্চারিত হয়নি ।
বক্তারা বলেন, গত ১৫ জানুয়ারী টাইমস অব ইন্ডিয়া, জি নিউজ সূত্রে প্রকাশিত এক খবরে জানা গেছে যে, ১৯৬৫ সালের পাক-ভারতে যুদ্ধের সময় পাকিস্থানে চলে যাওয়া ভারতীয় মুসলিমদের প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার ৯ হাজার ৪০০টি ‘শত্রু সম্পত্তি’ ফিরিয়ে না দিয়ে নিলামে তুলছে ভারত সরকার। অথচ একই যুদ্ধের সময় তৎকালীন পূর্বপাকিস্থানে তথা বর্তমান বাংলাদেশে ঘোষিত ‘শত্রু সম্পত্তি’ বা পরবর্তীতে ঘোষিত ‘অর্পিত সম্পত্তি’ এদেশের হিন্দুদের ফিরিয়ে দিতে অর্পিত সম্পত্তি আইন করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অন্যায়। সর্বোপরি মুসলমানদের স্বার্থ বিরোধী হিন্দু তোষণমূলক সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
বক্তারা বলেন, গত ১০ মার্চ স্বায়ত্বশাষন দিবস পালন করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী পার্বত্য সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ। সেটা তাদের ফেসবুক পেজে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু দেশবিরোধী নিষিদ্ধ সংগঠন এরকম একটা দেশ বিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মসূচী পালন করল কিন্তু সেটা ভন্ডুল করা হলো না, সেটা গভীর উদ্বেগজনক। কারণ বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা আজ স্বায়ত্বশাসন দিবস পালন করেছে কাল স্বাধীনতা দিবস পালন করবে। বাংলাদেশের বুক চিরে স্বাধীন জুম্মল্যান্ডের অস্তিত্বের ঘোষণা দিবে। এই ষড়যন্ত্রে সরকারে ভিতরে এবং বাইরে একযোগে কাজ করছে ইউপিডিএফ এবং জেএসএস। এমতাবস্থায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে পুর্ন ক্ষমতা প্রদান করে পশ্চিমা ষড়যন্ত্রকারী ও এদেশীয় তাদের দালালদের পরিকল্পনা ধ্বংস করতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী ওলামা লীগসহ ১৩টি ইসলামী সমমনা সংগঠনের মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, পীরজাদা পীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী পীর সাহেব, আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, মাওলানা মুহম্মদ শোয়েব আহমেদ, মুহম্মদ গরীব মাহমুদ (এমপি প্রার্থী) সহ ১৩টি ইসলামী সমমনা সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।