Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজ মন্ত্রিসভায় জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা উঠছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার ব্যাপারে রাজনৈতিক নেতৃত্ব উপযুক্ত পরামর্শ এবং কৌশলগত নির্দেশনা দিয়ে সামরিক কৌশলে রূপান্তর করবে দায়িত্ব সফলভাবে পালন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নেতৃত্ব কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হবে। সশস্ত্র বাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী ও সহায়ক বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবক সমন্বয়ে সংগঠিত হবে। জাতীয় নিরাপত্তার নেতৃত্ব থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। অন্যান্য সকল জাতীয় শক্তিকে জাতীয় নিরাপত্তায় এক সাথে থাকবে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব কৌশলগত নির্দেশনা পালন করবে সশস্ত্র বাহিনী। এমন বিধান রেখে জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা-২০১৮ এর প্রণয়ন করেছে সরকার। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এটি অনুমোদনের জন্য উত্থাপন হতে পারে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

জানা গেছে, প্রতিরক্ষা নীতিমালাটি ১৯৭৪ সালে প্রণীত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুমোদিত বাংলাদেশের প্রথম মৌলিক প্রতিরক্ষা নীতির আলোতে এই নীতিমালা। ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়নের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর ২০১০ সালের শুরুর দিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির খসড়া তৈরি করে জমা দেয়। ওই খসড়া নীতিমালা নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পকির্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ২০১০ সালের ২৭ জুন প্রথম রিপোর্ট ও ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর দ্বিতীয় রিপোর্ট সংসদে উত্থাপন করে। ওই সময় খসড়া প্রতিরক্ষা নীতিমালায় সংসদীয় কমিটির সভাপতিসহ সাতজন তাদের মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরেন। এর আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে নীতিমালাটি যাচাই-বাছাই সম্পূর্ণ করা হয়। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেলেই জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা কার্যকর হবে। খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছেÑ নিরাপত্তা বিষয়ক একটি জাতীয় কমিটি থাকবে। সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী কর্তৃপক্ষ যা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে সরকারের মনোনীত মন্ত্রী এবং মনোনীত সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠন হবে। প্রধানমন্ত্রী এ কমিটির সভাপতি থাকবেন। সশস্ত্র বাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী ও সহায়ক বাহিনী, সংরক্ষিত যোদ্ধা ও স্বেচ্ছাসেবক সমন্বয়ে সংগঠিত হবে। জাতীয় নিরাপত্তার নেতৃত্ব থাকবে সশস্ত্র বাহিনী এবং অন্যান্য সকল জাতীয় শক্তিকে জাতীয় নিরাপত্তায় একত্রিত করা হবে। নীতিমালায় আরো বলা হয়েছেÑ সামরিক বাহিনীর ভাবমূর্তি সমাজিক ও সামরিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। জাতীয় স্বার্থরক্ষার লক্ষে বাংলাদেশ নিরোধমূলক ক‚টনীতি ও বিরোধ নিস্পত্তির প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। শান্তিপূর্ণ যে কোনো সংকট মেটাতে ক‚টনৈতিক তৎপরতা, আলাপ-আলোচনা ও আন্তর্জাতিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলেই সর্বশেষ পন্থা হিসেবে সামরিক শক্তি প্রয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ নীতিমালার আলোকেই বাংলাদেশ তার নিরাপত্তা জোরদারের জন্য জাতীয় স্বার্থ সম্বলিত সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।
এছাড়াও আজকের মন্ত্রিসভায় সার (ব্যবস্থাপনা) সংশোধন আইন, ২০১৮ এর খসড়া, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮-এর খসড়া চ‚ড়ান্ত, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার চ‚ড়ান্ত হতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মন্ত্রিসভা

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ