পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশি হেফাজতে মারা যাওয়া তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন মিলনের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে স্বান্তনা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল (বুধবার) বিকেলে ঢাকা থেকে সড়ক পথে বিএনপি মহাসচিব প্রথমে মিলনের গ্রামের বাড়ি পূবাইলের মাজুখানে যান। মির্জা ফখরুলকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন ছেলে হারা বৃদ্ধ মা হোসনে আরা এবং স্বামীর শোকে কাতর স্ত্রী শাহনাজ তানিয়া আখতার। বিএনপি মহাসচিব তাদের দু’জনকেই স্বান্তনা দেন। মিলনের দুই ছোট কন্যা শিশু সন্তানকে বিএনপি মহাসচিব কাছে নিয়ে আদর করতে গেলে তারাও কান্নায় ভেঙে পড়ে। এ সময়ে এক হৃদয়স্পর্শী দৃশ্যের অবতারনা হয়। ফখরুল শিশু সন্তানের কান্নায় অশ্রæ সংবরণ করতে পারছিলেন না। এসময় তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদানও পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেন। পরে বিএনপি মহাসচিব মিলনের কবর জিয়ারত করেন এবং কবরে দলের কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। এ সময়ে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাঈদ সোরাত জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়্যেদুল ইসলাম বাবুল, স্থানীয় কমিশনার সুলতান উদ্দিন চেয়ারম্যান, ছাত্র দলের সাজ্জাদ হোসেন রুবেল, নুরুল ইসলাম নুরুসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ছিলেন। ছাত্র দল নেতা মিলনের পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনাকে সরকারের চরম নির্মমতা হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মিলনের শহীদ হওয়ার ঘটনা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অনুপ্রেরণার একটি নাম। তার পরিবার আজকে এক নিদারুন অবস্থার মধ্যে দিনযাপন করছেন। আমি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতা জানাতে আমি এখানে এসেছি। আমরা সবসময় মিলনের পরিবারের পাশে থাকবো। স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে মিলনের পরিবারের প্রতি দেখভাল করার নির্দেশ দেন বিএনপি মহাসচিব। গত ৬ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধন থেকে গোয়েন্দা পুলিশ মিলনকে আটক করে। এরপর তিনদিন রিমান্ড শেষে রোববার কারাগারে নেওয়ার পর অসুস্থ হন মিলন। সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিএনপিসহ পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনেই মিলনের মৃত্যু হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।