পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে চলমান কোটা সংস্কারের দাবিতে পরিচালিত চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনাসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি বুধবার দুপুরে পুলিশের হামলায় পণ্ড হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও ৫০ জনকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। এদিকে, পুলিশি হামলার অভিযোগ এনে এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ১৮ মার্চ সারা দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা।
একই দাবিতে আজ সারা দেশে বিক্ষোভ ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হচ্ছে বলে আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা যায়। তাদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- বিদ্যমান ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা; কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধায় নিয়োগদান; কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া; সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ এবং চাকরিতে একাধিকবার ব্যাবহার সুবিধা না রাখা।
এ সকল দাবিতে, বুধবার দুপুরে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে বের হয়। মিছিলটি হাইকোর্ট মোড়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেয়। আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশা ছিল আধা ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা সেখানে এসে তাদের আশ্বস্ত করবেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই পুলিশ তাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে, এছাড়াও লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।
বিনা উস্কানিতে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে এমন অভিযোগ এনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, পুলিশ আমাদের ওপর বিনা কারণে হামলা চালিয়েছে। আমরা কোনো সহিংস আন্দোলন করতে যাইনি সেখানে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম।
আন্দোলনকারীদের বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু তারা রমনা থানায় আছে। আমাদের কাছে নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।