পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
প্রত্যহিক জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনে অন্যান্য দেশের মতই সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে এদেশে মোবাইলফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৪ কোটির বেশি, সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে ৮ কোটি, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবহার করছে প্রায় ৬ কোটি গ্রাহক এবং ৩ কোটির মত আছে ফেসবুক ব্যবহারকারী। তবে অনলাইন কেনাকাটায় ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারে চিত্রটা একবারেই ভিন্ন। উন্নত দেশ এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায়ও যথেষ্ট পিছিয়ে ডিজিটাল পেমেন্ট বা এমএফএস পেমেন্ট। বেটার দ্যান ক্যাশ অ্যালায়েন্স এর গবেষণা বলছে বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশই ডিজিটালি পেমেন্টে আগ্রহী। সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও, খাত সংশ্লিষ্টদের ধারানানুসারে বাংলাদেশের অনলাইন বাজারের ব্যাপ্তি প্রায় ২০০০ কোটি টাকার মত। যেখানে ১০০০ ই-কমার্স এবং ৮০০০ ফেসবুক ভিত্তিক অনলাইন শপ( এফ কমার্স) প্রতিষ্ঠান সক্রিয় রয়েছে। তবে ই-কমার্স বা এফ-কমার্স পুরোটা প্রাতিষ্ঠানিক বা পদ্ধতিগত হয়ে ওঠেনি। অনেকেই শখের বসে অল্প কিছুদিন এ ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করেন তারপর হঠাৎ বন্ধ করে দেন বা পেমেন্ট নিয়ে ঠিকমত ডেলিভারি দেন না বা পণ্যের গুণাগুন ঠিক থাকে না। ফলে এমএফএস পেমেন্টের মূল অংশীদার গ্রাহক নির্ভরতার জায়গাটি পায় না এবং ক্যাশ অন ডেলিভারি পেমেন্টই পণ্য কিনতে বেশি স্বাচ্ছ¡ন্দ্য বোধ করে। অনলাইন শপের সবচেয়ে বড় সুবিধা যেকোন দেশ থেকেই সারা পৃথিবীর যে কোন দেশে পণ্য বিক্রি করা। কিন্তু বাংলাদেশে বিদেশ থেকে ডিজিটাল পেমেন্টের পদ্ধতি জটিল হওয়ায় আমরা সুযোগ থাকা স্বত্বেও আর্ন্তজাতিক বাজারে পণ্য বিক্রি করতে পারছি না। প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশের আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে পেমেন্ট করে কিছু কিনছে, কিন্তু সংখ্যা কম।
ই-কমার্স সাইট প্রিয়শপ ডট কম এর সিইও আশিক আলম খান ও বলছেন অনলাইন বা এমএফএস পেমেন্ট আশাতীত নয়। আশিক বলেন অনলাইন পেমেন্টে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সব পক্ষের মধ্যেই আরো সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশে এমএফএস সেবাদান কারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি অ্যাপ ভিত্তিক এমএফএস সেবা চালু করে, কিউআর কোডের মত সহজ বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত করে তাহলে মোবাইল পেমেন্টের হার বাড়বে। ভারত ও চীনের বাজারের উদাহরণ দিয়ে তারা বলেন, কিউআর কোড ও অ্যাপ ভিত্তিক মোবাইল পেমেন্ট চালু হওয়ায় বিক্রি বহুগুন বেড়েছে। বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকরাও কিউআর কোড বা অ্যাপ ভিত্তিক মোবাইল পেমেন্টের পক্ষে মত দেন। এমএফএস পেমেন্ট অ্যাপ ভিত্তিক হলে অনলাইন পেমেন্টে আরো আকৃষ্ট হবে এমন মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিউআর কোড, অ্যাপ ভিত্তিক হলেই ডিজিটাল পেমেন্ট হার বাড়বে। আর অ্যাপের ক্ষেত্রে বাংলা ব্যবহার করা গেলে তা হবে সোনায় সোহাগা। -বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।