পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলন পুলিশের নির্যাতনে মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সকালে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি অভিযোগ করেছেন যে, পুলিশি রিমান্ডে নির্যাতনে কারাগারে জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৬ মার্চ প্রেসক্লাবে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে ফেরার পথে শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গত ৮, ৯ ও ১০ মার্চ রিমান্ড শেষ গত রোববার আবারও আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে গতকাল মারা যান মিলন।
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর সুস্থ অবস্থায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার ওপর কোনো নির্যাতন চালানো হয়নি।
মৃত জাকির হোসেন মিলনের চাচা এবিএম ওয়ালিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, দেশে কোনো বিচার নাই। গত তিনমাস আগে আমাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল মিথ্যা অভিযোগে। পরে জামিনে মুক্তি পাই। গত ৬ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিলন ও আক্তার নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে রমনা মডেল থানার পুলিশ। পরে তাদেরকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে শাহবাগ থানার পুলিশ একটি মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠায়। ঢাকা মহানগর মূখ্য হাকিম তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত রোববার তাদের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু তাদেরকে আদালতে না তুলে হাতজখানা থেকেই জামিন না মঞ্জুর করেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। এরপর আমরা আজকে (সোমবার) সকালে টেলিভিশন স্ক্রলে জানতে পারি মিলনের মৃত্যুর খবর। পুলিশের নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়েছে বলেই অভিযোগ তাদের পরিবারের। মৃত জাকির হোসেন মিলন দীর্ঘদিন ধরেই তেজগাঁও এলাকায় ছাত্রদলের রাজনীতি করছেন। তিনি মাহী নামের নয় বছরের এবং আয়েশা নামের তিন বছরের দুইটি মেয়ে সন্তানের জনক ছিলেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। তাদের বাড়ি গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানার মাজখান গ্রামে।
ছাত্রদলের তীব্র নিন্দা
তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান আসাদ। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের দফতর সম্পাদক মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতারা বলেন, এ সরকার এখন জেলেও ছাত্রদল নেতাকর্মীদেরকে হত্যার উল্লাসে মেতে উঠেছে। ছাত্রদল নেতা মিলনকে রিমান্ডে নিয়ে যেভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হলো- তা কোনো সভ্য দেশের সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না। আইনকে এখন বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে হত্যার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা আরো বলেন, এসব ঘটনার বিচার একদিন নিশ্চয়ই হবে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে অপরাধের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। নেতারা অবিলম্বে জাকির হোসেন মিলনকে যারা হত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এছাড়া নিহত জাকির হোসেন মিলনের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।