পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৩০০ ফুট-মাদানী এভিনিউ সংযোগ সড়ক : সোয়া ৩ কি.মি. সড়কে ব্যয় হবে ৪৪৮ কোটি টাকা : বাস্তবায়ন করবে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড
রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কের সঙ্গে নতুন করে সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। এতে ঢাকার সাথে নারায়ণগঞ্জের সড়কপথে যোগাযোগ অনেক সহজ হবে। এ জন্য পূর্বাচলের ৩০০ ফুট থেকে মাদানী এভিনিউ পর্যন্ত সোয়া তিন কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করা হবে। সার্ভিস রোডসহ সড়কটি প্রশস্ত হবে ১৫০ ফুট। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪৪৮ কোটি টাকা। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। সওজ সূত্র জানায়, এরই মধ্যে সড়কটি নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই ও পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকারি তহবিল থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি শেষ হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ডিপিপিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পাঁচটি উদ্দেশ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো, বিদ্যমান পূর্বাচল ৩০০ ফুট মহাসড়কের সঙ্গে মাদানী এভিনিউয়ের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ঢাকার পূর্বাঞ্চল বিশেষভাবে নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নীতকরণ, পূর্বাঞ্চলের দ্রæত শিল্পায়নে সহযোগিতা, সংযোগ সড়কের প্রবাহিত এলাকায় আর্থসামাজিক উন্নয়ন, আন্তঃজেলার বাণিজ্য সুবিধা উন্নতকরণ ও পথচারীদের ফুটপাত ব্যবহারের সুবিধা প্রদান।
সূত্র জানায়, সোয়া তিন কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ খাতে ব্যয় হবে ২২৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এছাড়া ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। মাটির কাজসহ সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আর ব্যয় সমন্বয় ও অনিশ্চিত খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে যথাক্রমে ৮ কোটি ৫৩ লাখ ও ১২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটির আওতায় সোয়া তিন কিলোমিটার সড়কের উভয় পাশে ফুটপাত ও ড্রেন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া তিন মিটার প্রশস্ত সড়ক বিভাজকে বৃক্ষরোপণ করা হবে। সব মিলিয়ে প্রকল্প ব্যয় হবে ৪৪৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এতে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় হবে ১৩৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা-যা হবে দেশের দ্বিতীয় ব্যয়বহুল সড়ক প্রকল্প। বর্তমানে বিশ্বের সবচয়ে ব্যয়বহুল মহাসড়ক হচ্ছে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা চার লেন প্রকল্প। ৫৫ কিলোমিটার এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজার ৮৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এছাড়া কুমিল্লার ময়মনামতি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধরখার পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার চার লেন নির্মাণে নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ওই প্রকল্পে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় পড়বে ১০৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এদিকে, জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা চার লেন নির্মাণকাজ চলছে। ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের ব্যয় তৃতীয় দফা বাড়ানো হচ্ছে। নতুন হিসাবে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯৯৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এতে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় পড়বে ৮৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এছাড়া গত বছর নেওয়া হয় এলেঙ্গা-রংপুর চার লেন প্রকল্প। এতে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আর ২০১৬ সালে শেষ হওয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন প্রকল্পে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় পড়ে ২০ কোটি চার লাখ টাকা। এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন প্রকল্পে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হয়েছে ২০ কোটি ৮২ লাখ টাকা। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।