পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চার লেনের বর্তমান ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে সড়কটি মোট প্রায় ১২৯ ফুট প্রসস্থ হবে। ৮.১০৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই সড়কটি ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে গত ৯ ফেব্রুয়ারি সড়ক ও জনপথ অধিদফতর চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী এতে ব্যয় হবে প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে সড়কটি ৫০ ফুট প্রসস্থ।
সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত হলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ যাতায়াতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে। এছাড়াও এ সড়ক দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া থেকে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর-লৌহজং-মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচে যাতায়াত করা যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যেই চলতি অর্থবছরে এক কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। আরো ৫০ কোটি টাকা বরাদ্ধ চাওয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রাথমিক কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
প্রকল্পটির উপ-ব্যবস্থাপক নারায়ণগঞ্জ সড়ক উপ-বিভাগ-১ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, বর্তমানে সড়কটি ১৫.৫০ মিটার (৫০ ফুট) চওড়া আছে। ৬ লেনে উন্নীত করার পর সড়কটির মোট প্রসস্থতা হবে ৩৯.২০ মিটার (প্রায় ১২৯ ফুট)। সড়কটির মাঝখানে দুই মিটার চওড়া মিডিয়ান থাকবে। এর মধ্যে নানা প্রজাতির ফুল ও সৌন্দর্যবর্ধক গাছ থাকবে। পুরো সড়কে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। ধীরগতির যানবাহনের জন্য সাড়ে পাঁচ মিটার চওড়া করে উভয়পার্শ্বে সার্ভিস লেন থাকবে। সড়ক বিভাজক দিয়ে তা আলাদা করা হবে। সড়কের পাশ দিয়ে মানুষের পায়ে হেটে চলাচলের জন্য ফুটপাথ থাকবে। সড়কে যেন পানি না জমে তার জন্য আরসিসি ইউ ড্রেন, সসার ড্রেন নির্মাণ করা হবে। যানবাহন সুশৃঙ্খলভাবে সড়ক পার হওয়ার জন্য একটি ইউটার্ন থাকবে।
শিবু মার্কেট, জালকুড়ি ও ভুইঘর নামক স্থানে একটি করে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। যাত্রী ওঠা-নামার জন্য যানবাহন যেন থামতে পারে সেজন্য বাস-বে নির্মাণ করা হবে। জনগণের পারাপারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান সাইনবোর্ড ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে। চার লেনের বর্তমান সড়কের পুরাতন পেভমেন্ট তুলে সেটি আবার নতুন করে নির্মাণ করা হবে। ৯টি বক্স কালভার্ট সম্প্রসারণ করা হবে। এছাড়াও প্রকল্পের আওতায় একটি মসজিদ ও একটি অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে। সড়কটি প্রসস্থ করার কাজ শেষ হলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়ক যোগাযোগে কোন যানজট থাকবে না। ফলে কম সময়ে আসা-যাওয়া করা যাবে। এতে আর্থিক সাশ্রয়ও হবে।
তিনি আরো বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি এনডিই-টিবিএল-এইচটিবিএল-জেভি নামক যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে এই কাজের জন্য সওজ প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকার একটি চুক্তি করেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই তাদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি প্রকল্প এলাকায় নিয়ে আসা শুরু করেছে। প্রাথমিক কাজও শুরু হয়েছে। সড়কের এলাইনমেন্ট ঠিক করে লাল নিশান টানানো হয়েছে। বর্তমানে সড়কের পাশের গার্বেজ অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের ব্যবস্থাপক নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী ইকবাল জানান, প্রকল্পটি যথাসময়ে শেষ হবে। চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ইতোমধ্যেই এক কোটি টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। আরো ৫০ কোটি টাকা বরাদ্ধ চাওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।