পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বের মুসলমের ঐক্য ও শান্তি কামনার মধ্য দিয়ে বরিশালের চরমোনাইর তিনদিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল গতকাল শেষ হয়েছে। বাদ ফজর শেষ বয়ানের পরে লাখ লাখ মুরিদান ও মুসুল্লীদের নিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে হাত তোলেন চরমোনাইর পীর ছাহেব সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
মোনাজাতে মহান আল¬াহর কাছে সকল পাপ ও অন্যায় থেকে মুক্তির জন্য আকুতি জানিয়ে মুসলিম বিশ্বের শান্তি ও ঐক্যও কামনা করা হয়। দেশ-জাতি ও মানবতার কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনাসহ মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধও প্রার্থনা করা হয়। দোয়া করা হয় মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্যও।
এর আগে ফজরের নামাজের পর পীর ছাহেব চরমোনাই মাহফিলে অংশগ্রহণকারী মুসলি¬দের উদ্দেশে হেদায়েতি বয়ান করেন। বয়ানে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের প্রস্তুতির নসিহত করে বলেন, এ দুনিয়া থাকার জায়গা নয়। তাই কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি দুনিয়ার মোহে পড়ে থাকতে পারে না।
এখান থেকে পরকালের জীবনকে সাজাতে যারা বেশি চেষ্টা করবে, পরকালে সে ততই সফলতা লাভ করবে। পীর ছাহেব উপস্থিত মসুল্লী ও মরিদানের উদ্দেশে বলেন, আপনারা বহু দূর থেকে অনেক কষ্ট করে এসেছেন, খেয়ে না খেয়ে চরমোনাইর এ ময়দানে অবস্থান করেছেন। আপনাদের আশা এবং কষ্ট তখনই সফলকাম হবে যখন আপনার দৈনন্দিন জীবনের আমলগুলো সুন্দরভাবে পালন হবে।
৭ মার্চ থেকে শুরু হওয়া তিনদিনব্যাপী এ বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল গতকাল আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মোনাজাত শেষে লাখ লাখ মুসুল্লী সড়ক ও নৌপথে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে রওয়ানা হয়ে গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।