পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কে.এম শামছুল হক আল মামুন, ফান্দাউক দরবার শরীফ থেকে : ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার ফান্দাউক দরবার শরীফের পীর ও বাংলাদেশ আঞ্জুমানে খাদিমুল ইসলামের আমীর আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি শাহ সূফী সৈয়দ সালেহ আহমাদ মামুন আল হোসাইনী বলেছেন, কোরআন সুন্নাহর আলোকে অলিগণ জীবন গড়ার উপদেশ দিয়েছেন। যুগ যুগ ধরে অলিগণ পথহারা ও দিশেহারা মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দিতে কঠোর পরিশ্রম ও সাধনা করেছেন। আল্লাহ ও তার রাসুলের (সাঃ) এর সস্তুষ্টি লাভের জন্য ইবাদত বন্দিগীতে মশগুল থাকতেন। পীরের কাছে বয়াত হওয়া মানে আল্লাহর সন্তুুষ্টি লাভের পথে চলা। বর্তমান ফেতনা ফ্যাসাদের যুগে ঈমান আকিদা রক্ষার লক্ষ্যে হক্কানী পীর আউলিয়াদের অনুসরণের কোন বিকল্প নেই। সত্যিকারের মুসলমান হতে হলে হক্ক দরবার এবং হক্কানী পীর মাশায়েখের সহবতে আসতে হবে। ইলমে শরীয়ত ও তরিকতের ময়দানে কঠোর সাধনা করতে হবে। আজ সমাজের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া, হারাম উপার্জন, হিংসা বিদ্ধেষ ও দুর্নীতির কারণে পরিবার, সমাজ ও দেশের সর্বস্তরের আজ অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।
পীর সাহেব আরও বলেন, পীর ও মাজার শরীফে সেজদা করা যাবে না, ইহা সম্পূর্ণ হারাম। মদ, গাঁজা, গান বাজনাও হারাম। অনৈসলামিক কার্যকলাপ থেকে সকলকে বিরত থাকতে হবে। বেশী বেশী করে নবীর (সাঃ) উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করলে দিল রৌশন ও অন্তরে নূর ফয়দা হয়। অন্তরে আল্লাহর ভয় ভীতি থাকতে হবে। একমাত্র আল্লাহর ভয়-ভীতির মাধ্যমেই মোত্তাকি ও পরহেজগারী অর্জন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ফান্দাউক দরবার অলি-আউলিয়াদের দরবার, এ দরবারের প্রতি আল্লাহর অশেষ রহমত রয়েছে। অলিদের সান্নিধ্য লাভের আশায় দরবার শরীফের সাথে গভীর সম্পর্ক রাখতে হবে। তিনি ফান্দাউক দরবার শরীফের আদর্শ মোতাবেক সকল তরিকতপন্থী ভাই, বোন ও ভক্তবৃন্দের চলার জন্য আহŸান জানান। পীর সাহেব বলেন, আদর্শ ছাড়া বুর্জুগী লাভ করা যায় না। আদর্শ থাকলে বুজুর্গী নষ্ট ও হয় না। সকল কর্মের ফলাফল নির্ভর করে নিয়তের উপর। মুমিন হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে ধন সম্পদ, পিতা মাতা, আওলাদ এমনকি নিজের জানের চেয়েও রাসূল্লাহ (সাঃ) কে বেশী মহব্বত ও ভালবাসতে হবে। তিনি গত শুক্রবার ফান্দাউক খেলার মাঠে পীরে কামেলে মোকাম্মেল হযরত শাহ সূফী আলহাজ্ব সৈয়দ আব্দুস সাত্তার ফান্দাউকী (রহঃ) ও পীরে কামেলে মোকাম্মেল শাহ সূফী আলহাজ্ব সৈয়দ নাছিরুল হক মাছুম আল-ক্বাদরী ফান্দাউকী (রহঃ) দ্বয়ের কেন্দ্রীয় বার্ষিক ইছালে ছওয়াব মাহফিলের ১ম দিন সভাপতির বয়ান দানকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মাহফিলের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন খাদিমুল ইসলামের নায়েবে আমীর পীরজাদা আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি শাহ সূফী সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমাদ আল হোসাইনী ও সার্বিক তত্বাবধানে পীরজাদা আলহাজ্ব মাওঃ সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক আল হোসাইনী ও পীরজাদা আলহাজ্ব সৈয়দ বাকের মস্তোফা আল-হোসাইনী এবং উপস্থাপনা করেন আলহাজ্ব মাওঃ মোশাহিদ হোসাইন। উদ্বোধন করেন, পীরজাদা শাহসূফী সৈয়দ শামছুল হক। ওয়াজ করেন মাওঃ মীর হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদী, মাওঃ আবু হানিফ আনোয়রী, মাওঃ জহিরুল ফরিদী, মাওঃ মুফতি মুতালেব হোসেন সালেহী, মাওঃ মুফতি মাঞ্জুরুল হোসাইনী, মাওঃ ইব্রাহিম সিদ্দিকী, গাজী আব্বাস উদ্দীন, মাওঃ হুমায়ুন কবির, মাওঃ কামাল উদ্দিন আনসারী, মাওঃ মাঞ্জুর হোসাইন মাছুমী প্রমুখ।
নাতে রাসূল পরিবেশন করেন ছাত্রমহলে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওঃ কবির আহমেদ, মাধবপুর উপজেলা শাখা সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মাছুমী প্রমুখ। উক্ত ইছালে ছাওয়াব মাহফিলে দেশ বরেন্য বিশিষ্ট চিন্তবীদ, পীর মাশায়েখ ও ওলামায়ে কেরাম ওয়াজ নছিয়ত করেন। মাহফিলের শুরুতে শুক্রবার বাদ জুম্মা ফাতেহা শরীফ, খতমে কোরআন, খতমে বোখারী, মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে সভার কাজ শুরু হয়। ১ম দিন দরবার শরীফের উন্নতি সাফল্য দেশের কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করে পীর সাহেব সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিকট মোনাজাত পরিচালনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।