পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিজিবি ও বিএসএফ’র মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৮.৩ কিলোমিটার এলাকা ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার দুপুরে বেনাপোলের পুটখালি সীমান্তের বিপরীতে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কাল্যাণী সীমান্তে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর জেলা প্রশাসক আশরাফউদ্দিন, বিএফইউজের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, বেনাপোল পৌর সভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি এবং বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা, আইপিএস। বিজিবি ও বিএসএফ এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং উভয় দেশের স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা। ৪৯ বিজিবির কামান্ডিং অফিসার লে.কর্ণেল আরিফুল হক জানান, যৌথ ভাবে “ক্রাইম ফ্রী জোনের” শুভ উদ্বোধন করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন এবং বিএসএফের প্রধান কে কে শর্মা। ওই জোন বাংলাদেশের পুটখালী ও দৌলতপুর সীমান্ত এবং ভারতের গুনারমাঠ ও কালিনী সীমান্ত’র মধ্যে পড়েছে।
ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষিত সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে কার্যকরভাবে অপরাধ প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিজিবি’র উদ্যোগে ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকারের বর্ডার সার্ভেইল্যান্স ডিভাইস যেমন-ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, সার্চ লাইট, থার্মাল ইমেজার ইত্যাদি স্থাপন করা হয়েছে। একইসাথে বিজিবি’র উদ্যোগে সীমান্তে অপরাধ প্রতিরোধে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়া নিজ নিজ দেশের স্থানীয় প্রশাসন এবং সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের সহযোগিতায় সীমান্ত অপরাধে জড়িতদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে ফিরিয়ে এনে কর্মসংস্থানের যথাসাধ্য ব্যবস্থা করা হবে। বিএসএফের একজন কর্মকর্তা ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছরের অক্টোবরে বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের দ্বিবার্ষিক সীমান্ত সম্মেলনে এই জোন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্রাইম ফ্রি জোন করার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ওই এলাকায় নারী শিশু পাচার, মাদক, অস্ত্র পাচারসহ অসামাজিক এবং অপরাধমূলক কর্মকা রোধ করা। বিজিবি ও বিএসএফ’র মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তে অপরাধ দমনে ড্রোন ব্যবহার করা হবে। যৌথভাবেই এই সীমান্তে স্পীট বোড ব্যবহার করে, সিসি টিভি ক্যামেরা ও ডিভাইস ব্যবহার করে যে কোন মূল্যে সীমান্তে অপরাধ দমন করা হবে। জেলা প্রশাসন, এনজিও এবং সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সহায়তায় বিজিবি ও বিএসএফ তা নিশ্চিত করবেন। পাইলট এই প্রকল্প সফল হলে আগামীতে সীমান্তের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার এলাকা এ ধরনের জোনের আওতায় আনা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।