পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ-ভারত পানি চুক্তির ২২ বছরেও চুক্তি অনুযায়ী পানি পায়নি বাংলাদেশ। চলতি বছরেও বাংলাদেশ পদ্মা নদীর পানি ৮-১০ হাজার কিউসেক কম পেয়েছে। ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে পদ্মা ও গড়াই নদীসহ ১৮টি নদী পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। পদ্মা নদীতে পানি শূন্যতার কারণে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১৫টি স্প্যানের মধ্যে উত্তর দিকে (পাবনার দিকে) ৪ টি স্প্যান এবং দক্ষিণ দিকে (কুষ্টিয়ার দিকে) ৪টি স্প্যান মোট ৮টি স্প্যান পানিশূন্য অবস্থায় রয়েছে। বাকি ৭টি স্প্যানের নিচে স্বল্প পরিমাণ পানি আছে। পানির অভাবে কৃষি আবাদে দেখা দিয়েছে চরম সঙ্কট। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের (জিকে প্রজেক্ট) আওতাধীন কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও যশোর জেলার ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হুমকির সম্মুখীন। এ পানি সঙ্কট ক্রমেই চরম রূপ ধারণ করছে। উল্লেখ্য, জিকে সেচ প্রকল্পে ৩টি মওসুমে পানি সেচ দেয়া হয়। এগুলো হলঃ খরিফ-১ (আমন), খরিফ-২ ও খরিফ -৩ (বোরো)। চলতি রবি মওসুমে জিকে প্রকল্পের আওতাধীন জেলাগুলোতে ২২ হাজার ৬০৫ হেক্টরের মধ্যে এ পর্যন্ ১০ হাজার ৩৯৪ হেক্টর জমিতে সেচের পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলকে মরুময়তার হাত থেকে রক্ষার জন্য ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৩০ বছরের পানি চুক্তি হয়। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউজে ঐতিহাসিক ৩০ সালা পানি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে ১লা জানুয়ারী থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৬ হাজার কিউসেক পানি দেওয়ার কথা। কিন্তু পানি চুক্তির ২১ বছর পার হলেও চুক্তি কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে, বাস্তবে বাংলাদেশ তার ন্যায্য হিস্যা পায়নি। দু’দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকেই ভারত বাংলাদেশকে কম পানি দিয়ে আসছে। পানির অভাবে ফারাক্কা বাঁধের ভাটি থেকে বাংলাদেশের রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত নদী বক্ষে কুষ্ক মওসুমে চরের পর চর, কোথাও ডুবোচরের ফলে নদী স্বাভাবিক নাব্যতা হারিয়েছে। অন্যদিকে জিকে প্রজেক্টের বিস্তৃত এলাকায় চাষাবাদে নেমে এসেছে বিপর্যয়।
পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি কমতে কমতে পদ্মা নদী অনেকটা ছোট নদীর আকার ধারণ করেছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১৫টি স্প্যানের মধ্যে ৭ টি স্প্যানের নিচ দিয়ে স্রোতহীন পদ্মার স্বল্প পরিমাণ পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি শুকিয়ে নদীতে জেগে উঠেছে ছোট বড় অসংখ্য চর। আর সেই চরে চলছে বিভিন্ন ফসলের চাষ-আবাদ। পদ্মার শাখা উপশাখা নদীগুলোর অবস্থা আরো করুণ।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারতের পানি চুক্তির প্রথম বছর অর্থাৎ ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির স্তর ছিল সাত দশমিক ২৫০ মিটার। এ পয়েন্টে প্রতি বছর পানির স্তর কমে আসছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর তিন-চার মিটারে নেমে আসে। আশঙ্কাজনক হারে পদ্মায় পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় পাবনার ২০-২৫টি নদী ইতিমধ্যে তাদের নাব্য হারিয়েছে।
চুক্তির প্রথম বছরে ১ থেকে ১০ জানুয়ারি সাইকেলে বাংলাদেশের পানির প্রাপ্যতা ছিল ৬৭ হাজার ৫১৬ কিউসেক। সেখানে পাওয়া যায় ৭০ হাজার ১২২ কিউসেক। শর্তানুযায়ী চুক্তির প্রথম বছরের প্রথম সাইকেলে পানি প্রাপ্তি কিছুটা বেশি হলেও তারপর থেকে ভারত বাংলাদেশকে একতরফা পানি কম দিয়ে আসছে। ২০০৮ সালের প্রথম সাইকেলে পানি পাওয়া যায় ৩৯ হাজার ৮৬৭ কিউসেক। পদ্মা নদীতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ২৫ মিটারকে বিপদসীমা হিসেবে ধরা হয়। চুক্তির পর থেকে কোন বছরই চুক্তি অনুযায়ী পানি পায়নি বাংলাদেশ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ২০১৮ সালের গত ৫ মার্চ পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে পানির লেবেল ছিল ৪ দশমিক ৬৭। ২০১৭ সালে পানির লেবেল ছিল ৪ দশমিক ৭৭। ২০১৬ সালে পানির লেবেল ছিল ৪ দশমিক ৭১।
সূত্রমতে, হিমালয়ের বরফগলা পানি নির্ভর গঙ্গা নদীর অববাহিকার আয়তন ৮ লাখ ৬১ হাজার ৪০৪ বর্গকিলোমিটার। পদ্মা থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রজেক্টে প্রতি বছর পানির জোগান দাঁড়ায় ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনমিটার। পানি প্রবাহের হার ৪ লাখ ৪২ হাজার ১৭০ ঘনমিটার প্রতি ২ কিলোমিটার। ২ হাজার ৫২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে গঙ্গা নদীর অববাহিকায় ভারত ১ কোটি ৩০ লাখ হেক্টর জমিতে সেচের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু দেশের বৃহত্তম গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে প্রজেক্ট) সেচ প্রকল্পের হাজার হাজার একর জমিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও পাম্প ব্যবহার করে সেচ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। জিকে প্রজেক্টে ১ লাখ ৯৭ হাজার একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার একর আবাদি জমি। সে সব জমিতে এখন আখ, বাদাম (যে ফসলে পানির প্রয়োজন কম হয়) চাষে ব্যস্ত রয়েছেন কৃষকরা।
এদিকে কুষ্টিয়ার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। নলক‚পগুলো পানি পাচ্ছেনা। বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কৃষি আবাদে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এতে সেচ প্রকল্পের অধীনে ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কুষ্টিয়াসহ ৫ জেলায় মরুময়তা দেখা দিয়েছে। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও যশোর জেলায় জমিতে আবাদ করা চাষীদের জন্য দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলার মধ্য দিয়ে ৮টি নদ-নদী প্রবাহিত হয়েছে। এসব নদী পদ্মা-গড়াইয়ের শাখা। ১০ বছর আগে নদ-নদীগুলোর নাব্য কিছুটা থাকলেও এখন সেগুলো মরা খাল। পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটির। মনুষ্যসৃষ্ট কারণে নদ-নদীগুলোকে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে।
পদ্মার প্রধান শাখা নদী গড়াইয়ের অবস্থা বহু বছর ধরেই করুণ। জুলাই -আগস্টে বর্ষা মৌসুমে গড়াই অনেকটা প্রাণ ফিরে পেলেও দু’মাসের মাথায় সেপ্টেম্বর - অক্টোবর থেকেই তা আবার ধুঁকতে শুরু করে। এখন শুষ্ক মৌসুমে গড়াই পানিশূন্য প্রায়। মানুষ সাঁকো ও চরাটের উপর দিয়ে নদী পার হচ্ছে। উল্লেখ্য যে প্রতি বছর ঘটা করে কোটি কোটি টাকা খরচ করে গড়াই নদী খনন চলে। খননের পর নদী আবার সেই আগের অবস্থায়ই ফিরে যায়। কারণ, ড্রেজারের সাহায্যে বালি সরিয়ে পরিকল্পিত ভাবেই নদীর মধ্যেই রেখে দেয়া হয়। বর্ষা মওসুমে সেই বালিতেই নদী আবার ভরাট হয়ে যায। বিগত কয়েক বছর ধরে চলছে একই প্রহসন। এর সাথে জড়িত জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাসহ আেেরা অনেকে। গড়াই খনন প্রকল্পের নয়ছয় করা অর্থে তাদের আর্থিক উন্নয়ন হয়। নদীর করুণ পরিণতি তাদের জন্য আশির্বাদ বয়ে আনে।
কুষ্টিয়ার সীমান্ত উপজেলা দৌলতপুরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পদ্মা থেকে উৎ্পত্তি হওয়া মাথাভাঙ্গা ও হিসনা নদী। দীর্ঘ এ নদী দ’ুটির উপর নানা রোগ জেঁকে বসেছে। মেহেরপুর জেলার ভৈরব নদী শুকিয়ে গেছে। তার একেবারেই মরণদশার মতো অবস্থা। মূলত দখলসহ নানা কারণে বিভিন্ন নদ- নদীর অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। বেশিরভাগ স্থানেই ভরাট হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে কোথাও কোথাও পানি দেখা গেলেও শুষ্ক মৌসুমে একেবারে মরা খাল। হিসনা নদী পাড়ের বাসিন্দা রাজু বিশ্বাস জানান, মাথাভাঙ্গা ও হিসনার সঙ্গে পদ্মার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এলাকার প্রভাবশালীরা সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে কোনো কোনো অংশে। কোথাও কোথাও নদীর বুকে তামাক ও ধান চাষ করা হচ্ছে। নদীর বুকে দখলের তালিকাও বেশ দীর্ঘ।
ভেড়ামারা উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে চন্দনা। তবে পদ্মা থেকে উৎপন্ন চন্দনার অস্তিত্ব আর চোখে পড়ে না। প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে নদীর বেশিরভাগ অঙ্ক। নদী এখন খন্ড খন্ড। দু’একটি অংশে খানা-খন্দ চোখে পড়ে। নদীর বেশিরভাগ অংশে বাড়িঘর উঠে গেছে। দখলের কারণে নদী তার নিজস্ব স্রোতধারা হারিয়েছে ৪-৫ বছর আগেই। এলাকাবাসী জানান, চন্দনার অস্তিত্ব এখন আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। দখল হয়ে গেছে বেশিরভাগ অঙ্ক। প্রতি বছর নদী দখল হয়ে গেলেও স্থানীয় প্রশাসনকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। কুমারখালী উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ডাকুয়া ও কালিগঙ্গা নদী। দুটি নদীই শুকিয়ে এখন ক্যানাল হয়ে গেছে। পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক বছর আগে। গড়াইয়ের সঙ্গে কালিগঙ্গা নদীর সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কুষ্টিয়া বড়বাজার শ্মশান ঘাটে বাঁধ দিয়ে। যার কারণে কালিগঙ্গা নদীতে আর পানি যেতে পারে না। এছাড়া কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের দবির মোল্লা রেলগেটে নদী বন্ধ করে মহাসড়ক নির্মাণ করায় নদী তার গতি প্রবাহ হারিয়ে ফেলেছে। কালিগঙ্গা নদী এখন প্রভাবশালীদের দখলে বিলীনপ্রায়। জেলেরা আর জাল নামাতে পারে না নদীতে। প্রভাবশালীরা লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে।
মিরপুর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সাগরখালি নদী। নদীটি মৃত প্রায়। কয়েক বছর আগে খনন করে নদীটি আবার সচল করার উদ্যোগ নিলেও সে টাকা পানিতে গেছে। নদী দখল করে বাড়িঘর-মার্কেট নির্মাণের মতো ঘটনাও ঘটছে। পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের ফসল আবাদের উপযুক্ত জায়গা হয়েছে নদীবক্ষ। নদীর উপর পুকুর কেটে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালী লোকজন। কোথাও কোথাও বাড়িঘর উঠে গেছে নদী পাড়ে। এসব নদীর দীর্ঘ এলাকা এখন পানি শূন্য।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে কুমার নদ। গড়াইয়ের শাখা এ নদীটি বিলীন হওয়ার পথে। বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে নদীটিতে। পানি না থাকায় সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছে স্থানীয়রা। নদীর অর্ধেক অঙ্ক শুকিয়ে পানি প্রবাহ থেমে গেছে। বর্ষা মৌসুমেও নদী আর আগের অবস্থা ফিরে পায় না। দখল হয়েছে বিভিন্ন অঙ্ক। বিশেষ করে ঝাউদিয়া ও বৈদ্যনাথপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় নদীর বড় অঙ্ক দখল করে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত দখল হয়ে যাচ্ছে নদী।
বৃহত্তর কুষ্টিয়ার চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা, ভৈরব ও কুমার নদীতেও একই অবস্থা। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর সমান পানি। মেহেরপুরের ভৈরব নদীতে ধান, সব্জি চাষ হচ্ছে। উল্লেখ্য, বর্ষাকালে ভারত পানি ছাড়ার কারণে এসব নদীতে কিছু সময়ের জন্য পানি আসে, তারপর আবার বিশীর্ণ, শুষ্ক দশায় নিপতিত হয়।
নদীসংলগ্ন এলাকার বয়স্ক মানুষ এককালের প্রমত্তা ও বর্তমান প্রায় পানি শূন্য মরণদশার শিকার পদ্মার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ^াস ফেলেন। শুধু বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও জিকে প্রকল্পভুক্ত জেলাগুলোই নয়, পদ্মা অববাহিকার অন্যান্য জেলাগুলো যেমন রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, রাজবাড়ি,ফরিদপুর, মাদারিপুর, শরিয়তপুরের বিশাল অঞ্চল ফারাক্কার অশুভ প্রভাবের শিকার। এর ফলে বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রতিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। অর্থনীতির উপর পড়েছে প্রচন্ড ক্ষতিকর প্রভাব। নৌপথে চলাচল ও মালামাল পরিবহন, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে প্রায়। এ পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশ সরকার কিছুদিন আগেও গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্প গ্রহণের কথা চিন্তা করলেও ভারতের আপত্তির কারণে তা সম্প্রতি পরিত্যক্ত হয়েছে। এখন সরকার পানিচুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের ন্যায্য হিসসা প্রাপ্তির যথাযথ উদ্যোগ নেবে, এটাই জনগণের প্রত্যাশা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।