Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রধানমন্ত্রী বরিশালের ৬টি কমপ্লেক্স-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও দুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন

দক্ষিনাঞ্চলে শত কোটি টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও বাসস্থান নির্মিত হচ্ছে

| প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

নাছিম উল আলম/ প্রায় শত কোটি টাকার সম্পূর্ণ দেশীয় তহবিলে দেশের দক্ষিনাঞ্চলের ৬টি জেলার ২৮টি উপজেলায় ‘ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন’ নির্মান কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফ্তর-এলজিইডি এসব কমপ্লেক্স ভবন ছাড়াও দক্ষিনাঞ্চলের ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৮৫টি বাসস্থান নির্মানকাজ প্রায় শেষ করেছে। বরিশাল মহানগরীতেও গনপূর্ত অধিদফ্তর জেলা মূক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স-এর নির্মান শেষে হস্তান্তরের পরে তা চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৮ফেব্রæয়ারী বরিশাল মহানগরীর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সটি সহ বিভিন্ন উপজেলায় নির্মিত ৬টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। একইসাথে বরিশাল সদর ও উজিরপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করছেন প্রধানমন্ত্রী। এইজইডি এসব কমপ্লেক্স নির্মান করবে।বরিশালের আগৈলঝাড়া, গৌরনদী, বাকেরগঞ্জ, হিজলা, মুলাদী ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স-এর নির্মান কাজ সম্পন্ন করেছে এলজিইডি । প্রতিটি কমপ্লেক্সে’র তিনতলা ভবনের নিচতলায় বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য বিপনী বিতান ছাড়াও দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অফিস এবং সম্মেলন কক্ষ থাকছে। পাশাপাশি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কমবেশী ৬শ বর্গফুটের একটি করে একতলা ভবন নির্মান করে দেয়া হচ্ছে দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলাতে। যাতে আধুনিক রান্নাঘর ও শৌচাগারও থাকবে। 

সরকারের ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এসব উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও বাসস্থানসমূহ নির্মান করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বরিশাল বিভাগের ৪২টি উপজেলাতেই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন ছাড়াও সব অসচ্ছল ও ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মান করা হবে বলে এলজিইডি’র দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৭কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে ৬টিতে কমপ্লেক্স ভবনের নির্মান কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি ৭কোটি ৬২লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয়ে জেলার ৮০জন অসচ্ছল ও ভূূমিহীন মুক্তিযোদ্ধার জন্য বাসস্থান নির্মান কাজও প্রায় শেষ। জেলার অবশিষ্ট ৪টি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মান কাজও ইতোমধ্যে শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। যার মধ্যে গত গত ৮ফেব্রæয়ারী দুটি উপজেলা কমপ্লেক্স-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রায় ১৬কোটি টাকা ব্যয়ে পিরোজপুরের ৭টি উপজেলাতেই ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স’ নির্মান কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ৩ কোটি ৮২লাখ টাকা ব্যয়ে জেলার ৪২জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য বাসস্থান নির্মান কাজও প্রায় শেষ। বরগুনার ৬টি উপজেলার ৪টিতে প্রায় ১০কোটি টাকা ব্যয়ে ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স’ নির্মান কাজের অগ্রগতিও প্রায় ৮০ ভাগ। এছাড়াও জেলাটিতে ১কোটি ৬৮লাখ টাকা ব্যয়ে ২১জন অসচ্ছল ও ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধার জন্য বাসস্থান নির্মান কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
পটুয়াখালীর ৭টি উপজেলার ৪টিতে ১০কোটি ৪৮লাখ টাকা ব্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স-এর নির্মান কাজও প্রায় শেষ। এছাড়াও জেলাটির ৮জন অসচ্ছল ও ভূমীহীন মুক্তিযোদ্ধার জন্য বাড়ী নির্মান কাজও ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখাতেও ব্যায় হয়েছে প্রায় ২কোটি টাকার বেশী।
ঝালকাঠী জেলার ৪টি উপজেলার ২টিতে প্রায় ৬কোটি ৩৯লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স-এর নির্মান কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রায় ২কোটি ৬৮লাখ টাকা ব্যয়ে জেলাটির ৯জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য বাসস্থান নির্মান কাজও প্রায় ৮০ভাগ শেষ হয়েছে। জেলাটির অপর দুটি উপজেলাতেও খুব শীঘ্রই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সহ আরো বেশ কিছু অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য বাসস্থান নির্মান কাজও সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে শুরু হচ্ছে। দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মান কাজ বর্তমান সরকারের মেয়াদকালেই শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে। তবে দক্ষিনাঞ্চলের কয়েকটি উপজেলাতে জমি প্রাপ্তি সহ কিছু জটিলতায় কাজ শুরু বিলম্বিত হলেও প্রকল্পটি সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধীকার ভিত্তিতে দেখছে বলে জানিয়েছে এলজিইডি’র দায়িত্বশীল মহল। পাশাপাশি আরো অধিক সংখ্যক ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার বাসস্থান নির্মানের বিষয়টিও সরকার বিশেষ বিচেনায় নিয়ে কাজ করছে। এসব বিষয় নিয়ে প্রতিটি জেলা প্রশাসন ও এলজিইডি’কে সর্বাধিক অগ্রাধীকার প্রদান করতেও বলা হয়েছে সরকারী তরফ থেকে। জেলা প্রশাসন জমি প্রদান করলে চলতি বছরের মধ্যেই দক্ষিনাঞ্চলের সবগুলো ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স’ নির্মান কাজ শেষ করতে চায় এলজিইডি। এছাড়াও দক্ষিনাঞ্চলে ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মানের বিষয়টিও জমি প্রাপ্তি ও সরকারী তহবিলের ওপর নির্ভর করছে বলে জানা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ