পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বছর শেষে প্রবৃদ্ধির এই হার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। তিনি বলেন, নেপাল পারলে আমরা পারবো না কেন। আমাদের রেমিটেন্স, রফতানি চিত্র, আবাসন ব্যবসার গতি বেড়েছে। এজন্য আমরা আশা করছি, এবারের প্রবৃদ্ধি ভালো হবে। আগামী এপ্রিলে এই সংক্রান্ত সুখবর দিতে পারবো। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)-এর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং-এ মন্ত্রী একথা জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুস্তফা কামাল বলেন, অর্থনীতি জন্য অনেক সুখকর সংবাদ বাংলাদেশের মানুষের জন্য নিয়ে আসবে। কারণ বহির্বিশ্বে ২০০৮ সাল থেকে গত নয়টি বছর যে অর্থনৈতিক মন্দাভাব ছিল, আজকে উন্নত বা উন্নয়নশীল কোনো অর্থনীতিতেই সেটি আর পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সর্বত্রই অর্থনীতিতে আজ চাঙ্গাভাব। কোথায়ও ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি নেই, বেকারত্বও কোথা দেখা যাচ্ছে না।
পরিকল্পনা মন্ত্রীর ভাষায়Ñ আমাদের কাছাকাছি দুইটি শক্তিশালী অর্থনীতি হলো ভারত ও চীন। ভারতে এ বছরের শুরুতে বৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। অতি স¤প্রতি তারা ঘোষণা দিয়েছেন তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ২ ভাগ। অন্যদিকে চীনের প্রবৃদ্ধিও ভালো অবস্থানে আছে, ৬ দশমিক ৫ শতাংশ; এমনকি জাপানেও ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি আর নেই। সার্বিক বিবেচনায় আমরা প্রত্যাশা করছি আমাদের জিডিপি’তেও প্রবৃদ্ধি গত বছরের চাইতে এ বছর আরো ভালো অবস্থানে জায়গা করে নিবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গত বছর আমাদের যে যে খাতগুলো একটু খারাপ অবস্থানে ছিল যেমনÑ রফতানি বাণিজ্য, আবাসন খাত, রেমিট্যান্স এই সব খাতগুলো এ বছরে অনেক শক্তিশালী। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতিও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত, এ মুহূর্তে মাত্র ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। ফলে পজেটিভ প্রবৃদ্ধি হবে এটাই স্বাভাবিক।
মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে প্রথমবারের মতো সরকারের দেয়া লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চূড়ান্ত হিসাব বলছে, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। যা দেশের ইতিহাসে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন। সরকার ওই অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৭ দমমিক ২ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।