Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারি দুদকের জালে আটকা পড়লে সব হারাতে হবে -দুদক কমিশনার

| প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ফেনী জেলা সংবাদদাতা : সীমান্ত এলাকা দিয়ে যারা মাদকের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় বানাচ্ছেন; তারা দুদকের জালে আটকা পড়লে শুধু মান সম্মান হারাবেন না, সম্পদ হারাতে হবে, জেলও খাটতে হবে, বাঁচার কোন উপায় থাকবে না। দুদকের কাছে খবর আছে এখানো স্থানীয় প্রভাবশালী মহল মাদকের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন ; দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম। ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় গত সোমবার বিকেলে খোকা মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত দুদকের ৮৫তম শুনানীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক কর্মকর্তা আরো বলেন, সরকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্তরা অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। যারা অফিসে অনুপস্থিত থাকে এবং অনিয়ম ও ঘুষ দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুদক কমিশনার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষকদের সতর্ক করে বলেন, অনেক শিক্ষক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসকে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। দুদক কমিশনার বলেন, যে সব জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে সরকারী অর্থ আত্মসাত, টিআর কাবিখাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করছেন তাদের বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরশুরামের উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দুদকের সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও দুদকের শুনানীতে সভাপতিত্ব করেন ফেনীর জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়। এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পরিচালক (প্রতিরোধ) মো মনিরুজ্জামান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্রগ্রামের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো আক্তার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো রুহুল আমীন, ফেনী জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবদুল মোত্তালেব । দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নির্ধারিত দিনে শুনানী উপলক্ষে দুদকের কর্মকর্তা উপজেলা পরিষদ সড়কে একটি অস্থায়ী অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপন করেন, ওই অভিযোগ কেন্দ্র ২৫ টি অভিযোগ জমা পড়ে, এই সব অভিযোগের উপর শুনানী করেন দুদক কর্মকর্তারা।
উপজেলা ভুমি অফিস, পল্লী বিদ্যুৎ, সমাজ সেবা, সমবায়, মুক্তিযোদ্বা অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পিআইও অফিস, এলজিইডিসহ বিভিন্ন অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন ক্ষতিগ্রস্থতারা। এই সময় সব দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পরশুরাম প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসের কর্মকর্তা চিথলিয়া ইউনিয়নের চন্দনা গ্রামের ঈদগাহ পাশে স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে সেচ্ছাশ্রম নির্মিত একটি রাস্তা পিআইও অফিসের প্রকল্প দেখিয়ে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্বাসাতের অভিযোগে সত্যতার প্রমাণ পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তা এই বিষয় ব্যাবস্থা নেওয়ার সিদ্বান্ত গ্রহণ করেছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ