Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

খাস জমি বরাদ্দ চেয়েও পাচ্ছে না রায়পুরের ভূমিহীন জেলেরা

| প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

হারুনুর রশিদ, রায়পুর (ল²ীপুর) থেকে : ল²ীপুরের রায়পুর উপজেলার ভূমিহীন জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধের পাশে মানবেতর জীবন যাপন। জেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৭ হাজার ৫৫৩ জন জেলের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ জেলেই ভূমিহীন। মেঘনা উপকূলীয় রায়পুর উপজেলার বেড়িবাঁধের পাশসহ চরাঞ্চলের খাস জমিতে এবং অন্যের জমিতে অস্থায়ী ঘর উঠিয়ে কোনরকমে বসবাস করে আসছে ভূমিহীন জেলেরা। প্রকৃত ভূমিহীন জেলেদের খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের বিধান থাকলেও বাস্তবে খুব একটা মিলছে না। জানা যায়, রায়পুর উপজেলার কানিবগাচরে ২ হাজার একরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত প্রায় ৩ হাজার একর জমি রয়েছে। অধিকাংশ খাস জমি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিভিন্ন কৌশলে অবৈধভাবে দখল করে আছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দখলে থাকা খাস জমিগুলো দখল মুক্ত করে এসব খাস জমি জেলেদের মাঝে বন্দোবস্ত দেওয়া হলে ভূমিহীন জেলেদের বাসস্থান সংকট কেটে যাওয়ার পাশাপাশি জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। ভূমিহীন জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নদী এলাকায় মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত থাকায় নদী ভাঙনের কারণে জায়গা-জমি হারিয়ে এবং মহাজনদের দাদনের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে নিজের জায়গা-জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়ে অধিকাংশ জেলে ভূমিহীন হয়েছে। সরকারের খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য জেলেরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বহু আবেদন-নিবেদন করেও এখন পর্যন্ত কোনো খাস জমি পায়নি বলে জানায়। রায়পুর জেলে গোষ্ঠীর প্রতিনিধি ও জেলা মৎস্যজীবী জেলে ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তফা বেপারী জানান, ভূমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য প্রান্তিক জেলে জনগোষ্ঠীর পক্ষ হতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে ভূমিহীন জেলে পরিবারদের মাঝে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসকও একাধিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু অদ্যাবধি জেলেরা কোনো ভূমি বন্দোবস্ত পায়নি। উল্টো জেলেদের প্রায় সময় ডেকে আবেদন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বসবাসের নিজস্ব জায়গা না থাকায় অনেকেই তাদের বংশপরম্পরায় মাছ ধরার পেশা ছেড়ে এলাকা থেকে চলে যাওয়ার সংবাদ রয়েছে।
এ ব্যাপারে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিল্পী রানী রায় সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় জেলেসহ ভাসমান ভূমিহীন জেলে পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাসস্থান দেওয়া হচ্ছে। ভূমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য জেলেদের আবেদন যাচাই-বাছাই চূড়ান্ত করার কাজও চলছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ