বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ঘোলপাশা ইউনিয়নে মোবাইল চুরির অভিযোগে শরীফ হোসেন (২০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার বেলাল মিয়া। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বেলাল মেম্বারের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ ।
নিহত শরীফ হোসেন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজি এলাকার তারু মিয়ার ছেলে। সে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের কোমাল্লা গ্রামে আব্দুর হামিদের মেয়েকে বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে এখানে বসবাস করে আসছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘোলপাশা ইউনিয়নের মেম্বার বেলাল মিয়ার নানার বাড়িতে মোবাইল চুরি হয়েছে। ওই ঘটনায় চোর সন্দেহে শরীফ হোসেনকে তার শশুর বাড়ি থেকে ধরে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় মেম্বার বেলাল মিয়া। সেখানে রাতভর ও সকালে শরীফকে মারধর করে। দুপুরে ওই বাড়িতে শরীফের মৃত্যু হয়। দুপুরের পর হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে বিকেলে পুলিশ মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
মেম্বার বেলাল জানান, এই এলাকায় প্রতিদিন অসংখ্য মোবাইল, ল্যাাপটপ, সিলিং ফ্যান চুরি হয়। সব চুরির সাথে শরীফ জড়িত। গতকাল (সোমবার) আমার নানুর বাড়িতে সিলিং ফ্যান ও মোবাইল চুরি করে শরীফ। পরে আমি জানতে পেরে তাকে ধরে এনে কয়েকটা থাপ্পড় দেই।এ সময় উৎসক জনতা তাকে গনপিটোনী দেয়। পরে রাতে ভাত খাওয়ার জন্য বলি। সে খায়নি। আজকে আমার বাড়িতে হঠাৎ করে সে মারা যায়। পরে পুলিশকে জানিয়েছে।
চুরির বিষয়ে পুলিশকে আগে জানাননি কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেম্বার বেলাল জানান, প্রতিদিন চুরি হয়। পুলিশ এসব গুরুত্ব দেয় না। পুলিশ এদেরকে ছেড়ে দেয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ পুলিশ সব সময় সজাগ রয়েছে। আমাদেরকে কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। ওই লোকের মৃত্যু হওয়ার পর আমাদের জানানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।