Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শুরুতেই প্রশ্নবিদ্ধ ওএমএস কার্যক্রম

| প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অনিয়মের মধ্যে শুরু হয়েছে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি (ওএমএস)। শুরুতেই প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা নিয়ে। গতকাল সোমবার প্রথম দিনেই কম চাল পাওয়ায় ক্ষুব্ধ রাজধানীর ডিলাররা। এ কারণে অনেকেই দেরি করে বিক্রি শুরু করেছেন। আবার অনেক জায়গায় খোলা বাজারে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চোখে পড়েনি। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সাধারণত ওএমএস-এ সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে চাল বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু গতকাল ডিলাররা দেরিতে চাল বিত্রি শুরু করেন। কেউ কেউ সাড়ে ৯টা, কেউ ১০টা আবার কেউবা ১১টার সময়ও বিক্রি শুরু করেন। সরেজমিনে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।
ওএমএস ট্রাক সেল ডিলার সমিতির সভাপতি আলমগীর সৈকত বলেন, চাল দেওয়া হয়েছে এক টন এবং আটা দেওয়া হয়েছে দুই টন করে। তবে চাল ও আটা দুটোই দুই টন করে দেওয়ার কথা ছিল। চাল কম পাওয়ায় ডিলাররা ক্ষুব্ধ। তাই তারা দেরিতে বিক্রি শুরু করেন।
চাল কম দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন খাদ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরিফুর রহমান অপু। তিনি বলেন, চাল এক টন করে দেওয়া হয়েছে। আটা দেওয়া হয়েছে দুই টন। মূলত বাজারে যাতে চালের দাম বেড়ে না যায় সেজন্যই চাল কম দেওয়া হয়েছে। চালের সংকট রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ১১ লাখ টনের বেশি চাল মজুদ রয়েছে। অতীতে কোনও সময়ে এত বেশি চাল সংগ্রহে ছিল না। দাবি করা হচ্ছে বাজারে চালের দাম বাড়ছে। আমরা মনে করি চালের দাম বাড়ছে না। তাই দাম যাতে না বাড়ে সেদিক লক্ষ্য রেখেই এভাবে চাল সরবরাহ করা হচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর পান্থপথে ট্রাকসেল শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। দেরির কারণ জানতে চাইলে ডিলার স্বপনের ছোট ভাই সাব্বির বলেন, চাল কম দেওয়া হয়েছে। সেজন্য দেরি। কাঁঠালবাগান হাতিরপুল ট্রাকসেলের ডিলারের প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা সাড়ে ৯টায় শুরু করেছি। আরও আগে শুরু করা যেত। চাল উঠাতে দেরি হয়েছে। দুই টন আটা দিলেও চাল দেওয়া হয়েছে এক টন। চাল কম দেওয়ায় অনেকেই চাল উঠাতে চাননি। তিনি বলেন, দেড়ঘণ্টায় ৫৬ জন চাল আর ৫৯ জন আটা কিনেছেন। সাড়া ভালো, চাল কম হওয়ায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এদিকে রাজধানীর আব্দুল গণি রোড, জাতীয় প্রেসক্লাবের কাছে ট্রাকসেলের কার্যক্রম দেখাই যায়নি। ট্রাকসেল ডিলার সমিতির সভাপতি আলমগীর সৈকত জানান, ১০২ জন ডিলার চাল উঠিয়েছেন। যদিও ১২০ জন ডিলারের রাজধানীতে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রির কথা ছিল। গত বৃহস্পতিবার থেকে চাল বিক্রির ঘোষণা দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ৪ মার্চ থেকে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হবে। তবে ওইদিন আদেশ জারি হতে দেরি হওয়ায় গত রোববার টাকা জমা দিয়ে চালান নিয়েছেন ডিলাররা। সেজন্যই গতকাল সোমবার চাল সংগ্রহ করে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেন। গত বছর চালের দাম অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাওয়ার পর সরকার ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ টাকায় আতপ চাল এবং ১৭ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি শুরু করে। তবে আতপ চাল জনপ্রিয় না হওয়ার পরও ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বিক্রির কার্যক্রম চালিয়ে নেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ