Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোটা প্রথা সংস্কার চেয়ে রিট খারিজ

| প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথার সংস্কার চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রিটকারীরা সংক্ষুব্ধ না হওয়ায় আদালত রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন। গতকাল সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। রিটকারীদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন একলাছ উদ্দিন ভূইয়া। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আদালত রিট খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই আদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও দুই সাংবাদিকের পক্ষে একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এ রিট দায়ের করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব,প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, আইন সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও পিএসসির চেয়ারম্যানকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
পরে একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ১৯৭২ সালে এক নির্বাহী আদেশে সরকারি,বেসরকারি, প্রতিরক্ষা, আধাসরকারি এবং জাতীয়করণকৃত প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা ও ১০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্থ নারীদের জন্য কোটা প্রবর্তন করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে কোটায় সংস্কার ও পরিবর্তন করা হয়। বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি নিয়োগে কোটা, যেমন প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা বিদ্যমান রয়েছে। এই কোটাপ্রথা সংবিধানের ১৯, ২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা

২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
১৭ নভেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ