পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের মানুষ একনায়কতন্ত্র ও রাজতন্ত্র চায় না বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম সভাপতি সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, ২০১৪’র মত আরেকটি নির্বাচন জনগণ চায় না। আমরাও চাই না। সবাই চায় একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন। একই সঙ্গে দেশে কেউ একদলীয় শাসনও। চায় না একনায়কতন্ত্র বা রাজতন্ত্র ।
গতকাল শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস জাতীয় উদযাপন কমিটির উদ্যোগে এ আলোচনা সভা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস জাতীয় উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী। স্মৃতিচারণ করেন ঐতিহাসিক স্বাধীনতার পতাকার উত্তোলণকারী জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমূখ।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমুলক নির্বাচনের জন্য অবশ্যই জনগণকে সচেতন হতে হবে। কারণ তারাই ক্ষমতার মালিক। সে মালিক যদি সচেতন না হয় তা হলে কোন কিছুই করা সম্ভব নয়। তিনি দেশের মালিক হিসাবে পাড়ায় পাড়ায় ঐক্যবদ্ধ হতে জনগণকে আহ্বান রেখে জানান, সহসা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে তাদের কথা শুনতে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাবেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, একটি অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন বা সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে কারো দ্বি-মত থাকতে পারে না। তিনি বলেন, দেশের জনগণের মধ্যে গণজাগরণ সৃষ্টি করে জনগণের দাবি আদায় করে নেয়া হবে। তিনি প্রশ্ন করেন দেশের টাকা কেন পাচার হয়ে যাচ্ছে। দেশে কি বিনিয়োগের পরিস্থিতি নেই?
প্রধান অতিথি বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, গণতান্ত্রিক শক্তি যারাই আছে সবার সঙ্গে ঐক্য হবে। কোন বাছ বিচার চলবে না। তিনি সর্তক করে দিয়ে বলেন, এভাবে কেউ লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দেবে না। জনগণকে এটা আদায় করে নিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, নিরপেক্ষ নির্বাচন। তিনি বলেন, বলেন, ২ মার্চই সাত মার্চের সুচনা করে। তিনি বলেন, পাকিস্তানীরা গণতন্ত্র হত্যা করেছিল বলেইতো জনবিদ্রোহ দেখা দেয়। তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলেই যারা ভুলে যায় যে তাদেরকে জনগণ ম্যানেজার হিসাবে নিয়োগ দিয়েছিল তাদের আর নির্বাচন করতে হবে। যারা ক্ষমতাকে দায়িত্ব মনে করবেন তাদেরই সামনে ক্ষমতায় যেতে নির্বাচিত করতে হবে।
আলোচনার সভাপতি গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় আশা ছিল দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, গণতন্ত্র থাকবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ একটি পরিবর্তন চায়। যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। একপক্ষ বিজয়ী হলে আরেক পক্ষকে ঘায়েল করবে না। আমরা নিশ্চয়তা চাই যে এক পক্ষ হেরে গেলে তার দশ হাজার নেতা কর্মী প্রাণ হারাবে না। অপরপক্ষে যে জিতবে সে গণতন্ত্রেও টুটি চেপে ধরবে না। তিনি মঞ্চে উপবিষ্ট নেতাদের একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম তৈরি করার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
আলোচনায় গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, জেএসডি সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সামাজিক রাজনৈতিক আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক হুমায়ুন কবির হীরু, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর সভাপতি এটি এম হেমায়েত উদ্দিন প্রমুখ অংশ নেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস জাতীয় উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।