পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারী অস্ত্র, গোলা বারুদ নিয়ে নাইক্ষংছড়ি তামব্রু সীমান্তে নিজেদের অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন, মিয়ানমার অবস্থান নিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তে বিজিবি শক্ত ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুজিবুল হক।
বৃহস্পতিবার (০১ মার্চ) বিজিবির সদর দফতর পিলখানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুজিবুল হক।
বিষয়টি গভীর পর্যবেক্ষণে রেখে বিজিবির শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও জরুরি পতাকা বৈঠক আহবানের পাশাপাশি মিয়ানমারের অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েনের ঘটনায় প্রতিবাদ পাঠিয়েছে বিজিবি।
তিনি বলেন, তমব্রু সীমান্তের জিরো লাইন এলাকায় বেশ কিছু রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন। এলাকাটি মিয়ানমার অংশে। কিছুদিন ধরে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনী তমব্রু সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া, সেগুলো আরো মজবুত করা, উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন সার্ভেলেন্স ইকুইপমেন্ট স্থাপন করার কাজ করছে। এর মধ্যে শব্দযন্ত্রের মাধ্যমে সেখানকার রোহিঙ্গাদের অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য তারা বারবার বলছে, যা গত একমাস ধরে চলছে।
তিনি আরো বলেন, তমব্রু সীমান্তে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পোস্টের মাঝামাঝি এলাকায় মিয়ানমার অংশের প্রায় ১৫০ গজ অভ্যন্তরে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। বেশ কিছু মিলিটারি প্যাটার্নের পিকআপের ট্রাক-লরির মাধ্যমে তারা সেখানে ভারী অস্ত্র স্থাপন করেছে। আমরা সার্ভেলেন্স ও ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে এসব তথ্য জানতে পেরেছি। এরপর থেকে বিজিবিও সতর্ক অবস্থানে আছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। ইতোমধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের আহ্বান জানিয়েছি। এখনও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। আশা করি, দ্রুততম সময়ে এর সমাধান হবে। আমরা প্রতিবাদলিপিও পাঠিয়েছি।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ পতাকা বৈঠকে সাড়া না দিলে বিজিবি কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এমন প্রশ্নে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুজিবুল হক বলেন, বর্ডার এলাকায় ভারী অস্ত্র মোতায়েন, সৈন্য সমাবেশ করা বর্ডার নর্মসের বাইরে। আমরা এটা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সতর্ক অবস্থানে আছি। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে বৈঠকে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। তাই এমন কোনো পদক্ষেপ তাদের নেয়ার কথা নয়। এটি কোনো উস্কানির পর্যায়ে পড়ে না। তাদের নিশ্চয়ই কোনো পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের স্ট্র্যাটিজিক প্লান কি? সেটা জানার জন্যই পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে মিয়ানমারকে।
কী পরিমাণ সেনা সদস্য এবং কী কারণে মিয়ানমার সমাবেশ ঘটিয়েছে, এমন প্রশ্নে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, সৈন্যদের সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। তবে বর্ডারে যে পরিমাণ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে তা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। আর সেজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে থেকে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।