Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একাত্তরের মার্চের শেষ সপ্তাহ

মুহাম্মদ রেজাউর রহমান | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পঁচিশে মার্চ দিনগত রাতে যে ভয়াবহ গণহত্যা শুরু করেছিলো হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীÑরাজধানী ঢাকাকে তারা পরিণত করেছিলো এক যুদ্ধক্ষেত্রে, যেখানে একদিকে সর্বাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদে সজ্জিত এক প্রশিক্ষিত সেনা বাহিনী অন্যদিকে নিরস্ত্র বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। সে রাতের ভয়াবহতা সম্পর্কে বর্তমানে যাদের বয়স পঞ্চাশ বা তারও কমÑতারা সে সম্পর্কে কোনো ধারণাই করতে পারবেন না। ঢাকার সর্বত্র বিশেষ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস, শিক্ষকদের বাসভবন, ইংলিশ রোড ইত্যাদি স্থানগুলোতে হানা দিয়ে পাখির মতো হত্যা করেছিলো হাজার হাজার মানুষকে।
এর আগে ২৩ মার্চ সারা ঢাকা তথা বাংলাদেশের সর্বত্র প্রায় প্রত্যেক বাড়ি, দোকান পাট ও অফিস-আদালতে ওড়ানো হয়েছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রস্তাবিত জাতীয় পতাকা। স্বাধীনতার জন্য সাড়ে সাত কোটি বাঙালির অদম্য ইচ্ছার মূর্ত প্রতীক হয়ে উড়ছিলো বাংলাদেশের পতাকাÑযার মধ্যে ছিলো সবুজের মাঝে লাল সূর্যের গোলাকৃতি অবয়ব। আবার তার মাঝে ছিলো তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র। পরবর্তী সময়ে ছাত্রনেতাদের দ্বারা প্রস্তাবিত পতাকা থেকে লাল গোলাকৃতি সূর্যের মাঝ থেকে শুধু মানচিত্রটি তুলে দেয়া হয়।
২৩ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পাকিস্তানী আমলাদের সাথে বঙ্গবন্ধু মনোনীত পাঁচজন আওয়ামী নেতার বৈঠক হয়েছিলো সংটক থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কে। কিন্তু এসবই ছিলো ১৭ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত ইয়াহিয়া-মুজিব সংলাপ পরবর্তী “বিশেষজ্ঞদের বৈঠকের নামে সময় ব্যয় করার অজুহাত মাত্র”। ২৪ মার্চ সন্ধ্যায়ই বঙ্গবন্ধু বুঝে নিয়ে ছিলেন যে, সংলাপের অজুহাতে পাকিস্তানী বাহিনী স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশীদের আন্দোলন দমন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে নিরস্ত্র জনগণের ওপর। তাই পঁচিশে মার্চ সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী যারাই তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেনÑতাদের সকলকেই যথা সম্ভব দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়স্থলে চলে যেতে বলে ছিলেন।
২৫ মার্চ দিনগত রাতে শুরু হোলো পাকিস্তানীদের অভিযান। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে এলো তারা। শহরের রাস্তায় ট্যাংক নামানো হলো। রাস্তায় যারাই ছিলো পথচারী বা প্রয়োজনে বের হয়ে আসা নিরীহ জনগণ তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হলো। চিহ্নিত কয়েকটি স্থান- যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস, ইপিআর হেড্্ কোয়ার্টার (বর্তমানে বিজিবি) পুলিশ লাইন, পত্রিকার অফিস, জাতীয় প্রেস ক্লাব। এসব লক্ষ্যবস্তুতে ট্যাংক থেকে গোলা বর্ষণ করেও অবিরাম মেশিন গান থেকে গুলি বর্ষণে ঢাকা পরিণত হোলো এক যুদ্ধক্ষেত্রে- যে যুদ্ধে একপক্ষ গুলি বর্ষণে হত্যা করছে নির্বিচারে অন্যপক্ষ কেবল লুটিয়ে পড়ছে গুলি খেয়ে। মেশিন গানের অবিরাম গুলি বর্ষণ ও মাঝে মাঝেই ট্রেসার বুলেটের আলো অনুসরণে ছোটাছুটি করায় নিরীহ জনগণকে হত্যা করা হলো নির্বিচারে। ইংলিশ রোডে (বর্তমানের নর্থ-সাউথ রোড) দোকানে-দোকানে আগুন ধরিয়ে ধ্বংস করা হলো শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পুলিশ লাইনে থ্রিনট থ্রি রাইফেল দিয়ে অকুতোভয় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা, পিলখানায় কিছুটা অস্ত্রসজ্জিত আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যগণ আক্রমণ প্রতিরোধ করে কিছু সময় লড়ে গেলেন বীর বিক্রমে।
অনেকে শহীদ হলেন- গোলাবারুদ ফুরিয়ে গেলে অনেকে পালিয়ে রক্ষা পেলেন। শহরের সর্বত্র খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়া একরকম বিনা প্রতিরোধে হত্যা করে চললো পাকবাহিনী। তাদের অপ্রয়োজনীয় একটানা মেশিন গানের গুলির আওয়াজ, মাঝে মাঝেই ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণে প্রকম্পিত হয়ে থাকলো ঢাকা শহর। হানাদার পাক বাহিনী অল্প সময়েই ঢাকাকে দোজখে পরিণত করলো, যেখানে প্রতি মুহূর্তে মারা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে। একটানা মেশিন গানের গুলি, ট্রেসার বুলেটের ফলে আলোকিত হয়ে ওঠা শহর, মাঝে মাঝেই গোলার আওয়াজে ঢাকার অধিবাসীগণ এক অতন্দ্র রজনী অতিক্রান্ত করলেন। অধিকাংশ মানুষই খাট বা চৌকি ছেড়ে মেঝেতে শুইয়ে রাত কাটালেন। প্রকৃতির নিয়মে ফরসা হতে শুরু হোলো ২৬ মার্চ সকালের আবির্ভাবে। রাস্তায় লোক-চলাচল শূন্য। শোনা গেলো কারফিউ জারি হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। যাদের বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো-তারাও বেরুতে পারলেন না। ঘরে যাইছিলো-তাই রান্না করে দিন কাটালেন। দেখা গেলো সড়কের মোড়ে মোড়ে পাঁচ/ছয় জন হানাদার পাক সৈন্য পাহারা দিচ্ছে। খাটানো হয়েছে ফিল্ড টেলিফোন। এ যেনো এক যুদ্ধ ক্ষেত্রের ছবি। ২৬ মার্চ পুরোদিন কারফিউ জারি ছিলো। ছাব্বিশে মার্চ দিনগত রাত্রি যেনো ঢাকা এক মৃত নগরী। কেবল মাঝে মাঝেই পাওয়া যাচ্ছে হানাদার বাহিনীর জিপ গাড়ির আসা-যাওয়ার শব্দ।
২৭ মার্চ এগারটা থেকে একটা পর্যন্ত কারফিউ বিরতি। বাজারের থলি নিয়ে অধিকাংশ নগরবাসী বেরিয়ে পড়লো তরি-তরকারি, মাছ-মাংস যা পাওয়া যায় তাই সংগ্রহ করতে। কিন্তু চোখ রাখতে হচ্ছে সরাসরি সামনের দিকে। ডানে বা বায়ে দেখলেই দেখা যাচ্ছে লাশ আর লাশ। যে ভিখারী রাস্তার পাশে শুয়ে থাকতো কোনো বাড়ির দেয়াল থেকে- নৈশ প্রহরী যারা পাহাড়া দিতো নাগরিকদের দোকানপাট বা বাসগৃহ-তাদেরও লাশ পড়ে আছে, দুদিনের বাসী লাশের সারি দেখতে দেখতে বাজারে। অধিকাংশ দোকানই বন্ধ। মাংসবিক্রেতা কসাই দেয়ালে ঠেস দিয়ে বসে আছে-বেঁচে নেই-রক্তের প্রবাহ শুকিয়ে কালো হয়ে আছে একটা দুটো মুদি দোকান বা তরকারি নিয়ে দু-একজন বিক্রি করছে তাদের সামনে ক্রেতাদের জটলা। ডাল, তরকারি ও ডিম কেনার হিড়িক পড়ে যায়।
২৭ মার্চ কারফিউ স্বল্পক্ষণের জন্য উঠিয়ে নিলে রাস্তায় যারাই বের হয়েছিলো, তাদের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জেনারেল ওসমানীর সহকারী এয়ার ভাইস মার্শাল এ. কে. খন্দকার তার লিখিত বই “১৯৭১ : ভেতরে ও বাইরে”-তে লিখেছেন ২৬ মার্চ সারাদিন কারফিউ ছিলো। ২৭ মার্চ সকালে অল্পক্ষণের জন্য কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়। ২৫ মার্চ সন্ধ্যার পর থেকে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। তাই ২৭ মার্চ সকালে তাদের নিয়ে আসার জন্য নিজেই জিপ চালিয়ে আজিমপুর যাই। পথে রাস্তার দুই পাশে ভয়ংকর ও বীভৎস দৃশ্য দেখি। চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ। কালো পিচের রাস্তা রক্তে লাল হয়ে গেছে। (পৃ. ৫০-৫১) হানাদার পাক বাহিনীর গণহত্যা ২৭ মার্চেও থেমে যায়নি। বস্তুত : পঁচিশে মার্চ মধ্যরাত থেকে তা পরবর্তী নয় মাস তথা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটানা চলেছে। ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় একটি গণহত্যার ঘটনা সম্পর্কে এ. কে. খন্দকার আরো বলেছেন, “২৭ মার্চ সন্ধ্যায় মেসে গিয়ে দেখলাম কয়েকজন পাকিস্তানী কর্মকর্তা দাঁড়িয়ে আছেন। লক্ষ করলাম একটি সেনাভর্তি ট্রাক অফিসার মেসে প্রবেশ করলো। সৈনিকদের অনেকের অগ্নিবর্ষক অস্ত্র (ফ্রেম ব্লোয়ার) অফিসার মেসের একটু পেছনেই ছিল নাখালপাড়া গ্রাম। নাখালপাড়া গ্রামটি ছিল গরিব রিকশাওয়ালা ও খেটে খাওয়া মানুষের বাসস্থান। ... অগ্নিবর্ষক অস্ত্রগুলো দিয়ে ওরা এদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দিল। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের শিখায় পুরো এলাকা লাল হয়ে গেলো। ঢাকায় কারফিউ থাকার কারণে নাখালপাড়ার বাসিন্দারা বাসায় অবরুদ্ধ ছিলো। সব ঘরবাড়িতে আগুন ধরে উঠলো। ... যখন তারা ঘর থেকে দৌড়ে বের হওয়া শুরু করলো তখন এই অসহায় মানুষগুলোর ওপর পাকিস্তানী সৈন্যরা নির্মমভাবে গুলিবর্ষণ করতে শুরু করলো। আমার পাশে পাকিস্তানী বিমান বাহিনীর কয়েকজন অফিসার দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের একজন আমারই সামনে বলে উঠলেন, দিস ইজ দ্যা ওয়ে টু ডিল উইথ দ্য বাস্টার্ডস।”
২৮ মার্চ সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন বস্তি থেকে হাজার হাজার আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা পিপীলিকার সারির মতো শহর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটে যেতে থাকেন। ২৫ মার্চের রাতে যারাই গণহত্যা থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন-তারা সকলেই শহর ছেড়ে এক অজানা গন্তব্যে যাত্রা শুরু করেন। শহর ছেড়ে যাওয়া এই শরণার্থীদের ওপর হানাদার পাকসেনারা গুলি না চালালেও ছাব্বিশে মার্চের কয়েকদিন পরেই তারা কেরানীগঞ্জে হামলা চালায় ও কয়েকশ নারী-পুরুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। ২৮ মার্চের পরে দেখা যায় ঢাকা শহরে ঢোকা বা প্রবেশ করার জন্য যে কয়টি সড়ক রয়েছেÑতার প্রত্যেকটিতে বসানো হয় সেনাবাহিনীর পাহাড়া-চৌকি। শহরে যারা যে কোন যানবাহনে আসা-যাওয়া করছে, তাদের ওপর নজরদারি এবং গাড়িতে যারা তরুণ বয়সের রয়েছেন, তাদের নামিয়ে আনা হোতো। তাদের মধ্যে অনেকেরই আর কোনো খোঁজ পাওয়া যেতো না। ফলে যাদের  পুত্রসন্তানরা ১৮ থেকে ৩০ বছরের বা তার চেয়েও বেশি কিন্তু দেখলে সুস্থ সবলÑতাদের সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দেয়া শুরু হয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগ তরুণ মুক্তি সেনা হিসেবে নাম লেখায় ও অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তি বাহিনীতে যোগ দেয়। পরবর্তী নয় মাসে এদের কেউ কেউ মা-বাবা-ভাই-বোনের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে গোপনে ফিরে এলে দেশের অভ্যন্তরে কর্মরত রাজাকার/আলবদর/আল শামস বাহিনীর কাছ থেকে খবর পেলে বাড়ি ঘেরাও করে হানাদার বাহিনীর ‘মুক্তি’ খুঁজে বেড়াত ও তরুণ বয়সের যাকেই পেতো-তাকেই ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করতো।
২৫ মার্চ দিনগত রাতে আক্রমণের পর ২৯ বা ৩০ মার্চেও শহরের পরিস্থিতি ছিলো থমথমে। সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অনেকেই যারা স্বাধীনতার জন্য আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, তারা কাজে যোগ না দিয়ে নিজেদের গ্রামের বাড়ি বা পরিবার-পরিজনসহ ভারতে পালিয়ে গিয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিলেন। বিভিন্ন পেশার প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছিলো। মার্চের শেষদিকে হানাদার বাহিনী শহরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা হিসেবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে, স্কুল-কলেজ খোলার হুকুম দেয়। কিন্তু সব কিছুতেই কোনো স্বাভাবিকতা ছিলো না। লোকজনের মনে একটা ভীতি কাজ করতো। তরুণদের ভয়ছিলো অত্যন্ত বেশি। প্রতিরাতে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে অন্তত কয়েকশ জনকে ধরে মধ্যরাতে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে নিয়ে ব্রাশ ফায়ারে নির্মমভাবে হত্যা করা হোতো। দিনের বেলা নদীতে দেখা যেত ভাসমান লাশের সারি।
ঢাকা সম্পূর্ণভাবে দখল করার পরে হানাদার বাহিনী মাসখানেকের মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে আসে। সর্বত্রই তারা স্বাধীন বাংলাদেশ আন্দোলনের সমর্থক হিসেবে যারাই একটু পরিচিত ছিলেন, তাদেরকে বন্দি করে, বাড়ি বাড়ি থেকে তরুণীদের ধরে নিয়ে এসে নিজেদের পৈশাচিক লালসা চরিতার্থ করার লক্ষ্যে নয়মাস যাবতই ধর্ষণ ও হত্যা চালিয়ে যায়।
বস্তুত তাদের নৃশংসতা থেকে রক্ষা পায়নি কেউ- কোনো ছাত্রী-যুবা-নারী। মার্চের ২৫ তারিখ পর্যন্ত সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের ছল করে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তথা সারা দেশে সাড়ে সাত কোটি জনগণকে বিভ্রান্ত করে রেখে ২৫ মার্চ দিনগত রাতে এক অভাবিত ও জঘন্য গণহত্যা শুরু করে ছিলো। ২৫ মার্চ থেকে মার্চের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সময়ে ঢাকার নিরস্ত্র জনগণের ওপর প্রথমে ও পরে সারা দেশে কায়েম করেছিলো এক নারকীয় শাসনÑযার ফলে প্রাণহানি ঘটে ত্রিশ লক্ষ মানুষের এবং সম্ভ্রমহানি ঘটে আড়াই লক্ষ নারীর।
লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: একাত্তরের মার্চের শেষ সপ্তাহ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ