পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ২১ বছর পর ফেনী-বিলোনিয়া রেল যোগাযোগ আবার চালু হচ্ছে। ১৯৯৭ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেললাইনটি পুনঃস্থাপনের জন্য এরই মধ্যে জরিপ (সমীক্ষা) কাজ শেষ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে চূড়ান্ত করা হয়েছে বেদখল হয়ে যাওয়া রেলের সম্পত্তির তালিকাও। সংশ্লিষ্টরা জানান, বহুল প্রতীক্ষিত এ রেল যোগাযোগ চালু হলে পরশুরাম-ফুলগাজীবাসীর ভাগ্য খুলবে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, বিলোনিয়া হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন পণ্য পরিবহন সহজ করতে পরিত্যক্ত এ রেললাইন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এদিকে, দীর্ঘ ২১ বছর পরিত্যক্ত থাকায় ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথের কোনমতে চিহ্ন রয়েছে মাত্র। দীর্ঘদিনের ব্যবধানে রেললাইনের বেশিরভাগ স্থানের ¯িøপার চুরি হয়ে গেছে। পরিত্যক্ত রেললাইনের ওপর গড়ে উঠেছে দোকানপাট, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। দখল হয়ে গেছে রেলওয়ের আটটি স্টেশন ঘর, সরঞ্জামাদিসহ বিভিন্ন সম্পত্তি। এসব ঘটনায় লাকসাম জিআরপি থানায় ৩০টির বেশি মামলা দায়ের করা হলেও কোনো লাভ হয়নি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ফেনী-বিলোনিয়া রেললাইনটি পুনঃস্থাপনের জন্য প্রাযুক্তিক অর্থনীতির সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ দেয়া হয়েছে হায়দরাবাদের আরভে অ্যাসোসিয়েটস আর্কিটেক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্টস কোম্পানিকে। এ প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) প্রধান প্রকৌশলী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ফেনী জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে জরিপ কার্যক্রম শেষ করেছে আরভে অ্যাসোসিয়েটস আর্কিটেক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্টস। শিগগিরই জরিপের প্রতিবেদন বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) বিভাগে জমা হবে। কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ফেনী-বিলোনিয়া রেললাইনটি পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু হবে। অন্যদিকে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিলোনিয়ায় রেললাইন স্থাপনে সমীক্ষার কাজ শেষ করেছে ভারত। আগরতলা স্টেশন থেকে বিলোনিয়া পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণে ৪০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ এরই মধ্যে শেষ করেছে তারা। রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) একজন প্রকৌশলী জানান, ফেনী-বিলোনিয়া রেললাইনটি পুনঃস্থাপনের জন্য কাজ শুরু হয়েছে। রেলের যাবতীয় সম্পত্তি শনাক্তকরণ, অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিতকরণসহ প্রাথমিক কাজগুলো এরই মধে শেষ হয়েছে। শিগগিরই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পূর্ণাঙ্গ কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, ১৯২৯ সালে ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ চালু করা হয়। ২৭ কিলোমিটারের এ পথে বন্ধুয়া, দৌলতপুর, আনন্দপুর, পীরবক্স মুন্সির হাট, নতুন মুন্সির হাট, ফুলগাজী, পরশুরাম ও বিলোনিয়ায় আটটি স্টেশন স্থাপন করা হয়। সড়ক যোগাযোগ না থাকায় একসময় এ রেলপথ ছিল ফেনী, ফুলগাজী ও বিলোনিয়ার সাধারণ মানুষের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম। ১৯৭১ সালের পর রেল যোগাযোগের পাশাপাশি সড়ক যোগাযোগের উন্নতি হওয়ায় গুরুত্ব কমে এ রেলপথের। ব্যাপক লোকসানের কারণে ১৯৯৭ সালের ১৭ আগস্ট ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।