পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা করা হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র ও দেশনেত্রীকে মুক্ত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তুলবো। সরকার জগদ্দল পাথরের মত বসে আছে তাদেরকে সরিয়ে ও পরাজিত করার জন্য সবাকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যতদিন পর্যন্ত এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হয় ততদিন আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। গতকাল (বুধবার) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের এই দিনে (২১ ফেরুয়ারি) শুরু হয়েছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল ভিত্তি। সমগ্র জাতি গণতান্ত্রিক আন্দোলন সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিল। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল ভিত্তি ছিল। আজকে এমন এক সময় আমাদেরকে এ দিবস পালন করতে হচ্ছে যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা করা হয়েছে। সমস্ত রীতিনীতি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে, মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সংসদ পর্যন্ত দলীয়করণ করা হয়েছে। তাই আজকে এ দিনে যখন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি চিরকাল গণতন্ত্রের সংগ্রাম করছেন, লড়াই করছেন, তাকে একটি মিথ্যা মামলায় কারাগারে দিনযাপন করতে হচ্ছে। অত্যন্ত দুঃখ ও কষ্ট নিয়ে দিনটি পালন করছি। মির্জা ফখরুল বলেন, এই দিনে আমরা বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল ও দলের চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সকাল সাড়ে ১১টা দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি নেতারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে এসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন; তারা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে সকাল ৮টার দিকে বলাকা সিনেমা হলের কাছে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা প্রথমে আজিমপুর কবরস্থানে গিয়ে ভাষা শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ করে মোনাজাত করেন মহাসচিবসহ নেতৃবৃন্দ। এরপর কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে নিয়ে প্রভাত ফেরী করে শহীদ মিনারে যান।
এই সময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও খন্দকার মোশাররফ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবদুস সালাম, সিরাজউদ্দিন আহমেদ, ফরহাদ হালিম ডোনার, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাহাদাত হোসেন জীবন, কামরুজ্জামান রতন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, রাশেদা বেগম হীরা, মীর সরফত আলী সপু, এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবদুল বারী ড্যানী, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, নেওয়াজ হলিমা আরলি, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আবদুল আউয়াল খান, হারুনুর রশীদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, আমিরুল ইসলাম আলিম, আমিরুজ্জামান শিমুল, তাবিথ আউয়াল, খন্দকার মারুফ হোসেন, রফিক শিকদার। অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মহানগরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, কাজী আবুল বাশার, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, যুব দলের মোমতাজুল করীম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, জাসাসের মামুন আহমেদ, হেলাল খান, শায়রুল কবির খান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, উলামা দলের হাফেজ আবদুল মালেক, শাহ নেসারুল হক, ছাত্র দলের মামুনুর রশীদ মামুন ও আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।