বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে চাঞ্চল্যকর মো.আল-আমিন ওরফে টুকু হত্যা মামলার প্রধান আসামী মো. সাজ্জাদ ওরফে সাজ্জাদ হোসেন পাঠানকে (২৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ির শেখদি নয়ানগর এলাকা থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পিবিআই ঢাকা মেট্রোর একটি বিশেষ টিম। সাজ্জাদ দীর্ঘ ৫বছর ধরে পলাতক ছিলেন। পিবিআই জানায়, ২০১২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে মো. আল-আমিনকে কামরাঙ্গীরচরের হুজুরপাড়ার আমির হামজা রোডের রংয়ের কারখানার পশ্চিম পার্শ্বে মোশারফ হোসেনের চক পাউডার কারখানার কর্মচারী সোহেল ও রুবেল ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন দুপুরে ওই কারখানার মাঠ থেকে আল-আমিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আল-আমিনের শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের রক্তাক্ত জখম ছিল। এক পর্যায়ে আল-আমিনের পরিবার জানতে পারে যে, পূর্ব শত্রæতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সোহেল, রুবেল, মো. ইসমাঈল, পায়েল, ও মো. সাজ্জাদসহ অজ্ঞাতনামা কতিপয় ব্যক্তি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আল-আমিনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় আল-আমিনের বাবা মো. ওসমান গনি বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মামলা (নম্বর ১৫) করেন। মামলাটি প্রথমে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ, পরে ডিবি প্রায় পাঁচ বছর তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। কিন্ত ঘটনায় জড়িত আসামী সাজ্জাদ গ্রেফতার না হওয়ায় এবং পুর্নাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আল-আমিনের বাবা না রাজির আবেদন করেন। পরে আদালতের আদেশে পিবিআই, ঢাকা মেট্রো মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে। এরই প্রেক্ষিতে পিবিআই একটি টিম গত মঙ্গলবার রাতে যাত্রাবাড়ির শেখদি নয়ানগর এলাকা থেকে আল-আমিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাজ্জাদ ওরফে সাজ্জাদ হোসেন পাঠানকে গ্রেফতার করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।