Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘হামরা মরার পর পাব বিধবা ভাতার কার্ড’

| প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ আওয়ামীলীগ সরকার যখন সারাদেশে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি হয়। এর পরও বিধবা ভাতা বঞ্চিত দুই নারী, কেঁদে উঠ বলরেন হামরা মরার পর পাব সরকারের দেয়া বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড। কেই হামাকরোর একটা কার্ড করে দিচ্ছে না। কান্না জড়িত কন্ঠে বললেন বগুড়ার আদমদীঘির জিনইর বাউস্ত পাড়ার দুই বিধবা নারী। কেউই আামাদের কথা শোনেনা কাকে বললে কার্ড হবে। একাধিকবার মেম্বারের কাছে ধর্না দিয়ে কোন লাভ হয়নি। জানাযায়, আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের জিনইর গ্রামের বাউস্ত পাড়ার মৃত করিম প্রামানিকের বিধবা স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৭১) তার স্বামী করিম উদ্দীন ১৬/১৭ বছর পূর্বে মারা যায়। এরপর সুফিয়া মানুষ সেবায় বাড়ী বাড়ী ধায়ের কাজ করেন। তার ৭১ বছর বয়স হলেও এপর্যনÍ তার নামে কোন বিধবা বা বয়স্ক ভাতা কার্ড তার কপালে জটেনি। একই পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের স্ত্রী জইদা বেওয়ার (৭৩) তার স্বামী আবুল হোসেন মারা যায় ১৩/১৪ বছর পূর্বে তার কপালে ও জুটলো না বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড। এই দুই নারী বয়স্ক বা বিধবা ভাতা কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন। বিধবা সুফিয়া বেওয়া ও জইদা বেওয়া এই প্রতিবেদকের কাছে কান্না জড়িন কন্ঠে আবদার করেন হামা করোর একটা কার্ড সরকার দিবেনা তাদের কাছে জনপ্রতিনিধির কথা বললে তারা জানায়, কত বার মেম্বার চেয়ারম্যানকে বলেছে কার্ড দেয়না এমনকি গ্রামের মেম্বার কে ছবি আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়েছি তবু কোন কার্ড করে দেয়নি। হামরা মরার পর কি কার্ড পাব এই আকুতি দুই বয়স্ক নারীর। সমাজ সেবা অফিসার মোঃ শরিফ উদ্দীন জানান, চলতি বিধবা ও বয়স্ক ভাতা প্রদানের আগে মাঠ পর্যায়ে মাইকিং করে যাচাই বাচাই করে ভাতা প্রদান করা হবে। বিধবা ভাতা সর্ম্পক্যে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিধবা ভাতার ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ম নিতি অনুসারে সে বিধবা ও গরীব হতে হবে, বয়সের কোন ব্যবধান নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ