পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৯৯৩ সালে দুই কোটির টাকার দুর্নীতি বর্তমানে ৩০০ কোটি টাকার সমান বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেগম খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা চুরি করেছেন। তার জন্য মামলা করেছে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন। এই মামলা কোনও রাজনৈতিক মামলা না। সেই আমলে আড়াই কোটি টাকার বর্তমান মূল্য ৩০০ কোটি টাকারও বেশি। এতিমদের টাকার জন্য সাজা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক বয়স, সামাজিক অবস্থান এবং শারীরিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কনসিডারেশনে ৫ বছর সাজা দিয়েছেন। যদিও আরও বেশি দেওয়া উচিত ছিল।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন এবং দুর্বৃত্ত ও দুর্নীতি মুক্ত রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রায়ের কপি পাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘রায়ের কপি দেবেন আদালত। প্রতিটি মামলায় দুটি পক্ষ থাকে। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ। কিন্তু রায়ের কপি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও পক্ষ নেই । এই রায়ের পাতার সংখ্যা ৬৩২। দীর্ঘ ৫০ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে আমি বলতে পারি, রায়ের কপি পেতে হলে রায়টা কত বড় তার ওপর নির্ভর করে। শুধু মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায়ের কপি হাতে ধরিয়ে দেওয়া জরুরি। তারাই একমাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার দাবিদার। অন্যান্য ক্ষেত্রে রায় লিখতে যে সময়টুকু প্রয়োজন তার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। সরকারের এখানে কোনও হাত নেই।’
বিএনপি নেতারা বলে আসছেন, খালেদা জিয়াকে বেশি দিন কারাগারে আটকে রাখতেই রায়ের অনুলিপি দেওয়া হচ্ছে না।
আইনমন্ত্রী সচিবালয়ে বলেন, “উনারা (বিএনপি নেতারা) কী বললেন, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। আমরা আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটাই নাই।”
বিএনপি আমলের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আনিসুল হক বলেন, “মওদুদ আহমেদ সাহেব আইনমন্ত্রী থাকাকালীন আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পাইনি। মওদুদ আহমেদ সাহেব সরকারে থাকাকালীন ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স বাতিল করার কোনো পদক্ষেপ পাই নাই।
“এগুলো আজকে উনারা যখন বলেন, মওদুদ আহমদ সাহেব ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যখন এরশাদ সাহেবের পার্টিতে ছিলেন তখন কিন্তু খালেদা জিয়াকে ঠিক এইভাবে এইসব কারণেই উনাকে ইয়ে করেছিলেন।”
তারেক রহমানের বিষয়ে তিনি বলেন, “পলাতক আসামি এটা ওদের কালচার। নির্লজ্জ, একজন পলাতক আসামি তারেক রহমান, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি যিনি, তাকে দলের দায়িত্ব দিলেন।
আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম, একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনসহ অনেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।