বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার: সড়কের পাশে বিলর্বোডে বড় করে কাকের ছবি পাশেই লেখা ‘দাড় কাউয়ামুক্ত মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ চাই’। বিশালাকার ওই বিলবোর্ড যেকোনো মানুষের নজর এড়াতে পারছেন না। সবার চোখেই পড়ছে কৌতুহল সৃষ্টিকারী এ বৈচিত্রময় প্রতিবাদটি। তবে কারা কি উদ্দেশে এ প্রতিবাদ জানিয়েছেন এর সদুত্তোর পাওয়া না গেলেও ইতোমধ্যে এই ব্যতিক্রমী বিলর্বোডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ এলাকার বিক্রমপুর মিষ্টির দোকানের সামনে ৩০ ফুটেরও বেশি দৈর্ঘ্যর ওই বিলর্বোডটি নগরবাসীর চোখে পড়ে। জানা গেছে, সম্প্রতি দুই দফা ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের অর্ন্তগত ২৬টি থানা, ৪৬টি ওর্য়াড ও ৯টি ইউনিয়নের কমিটি অনুমোদন দেন ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
প্রথমবার কমিটির অনুমোদনের পর নানা অভিযোগ উঠলে তা স্থগিত করে সুরাহার জন্য তদন্ত কমিটি করে দেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু উত্থাপিত অভিযোগের সুরাহা না করেই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে পাশ কাটিয়ে পুণরায় কমিটির অনুমোদন করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক।
এ নিয়েও উত্তরের সংশ্লিষ্ট নেতারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সে সময়ও দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফারুক খান, যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে এসব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপরও কোনো সমস্যার সুরাহা হয়নি।
এরই মধ্যে ‘দাড় কাউয়ামুক্ত’ আওয়ামী লীগ চাওয়ার এ বিলর্বোড ব্যাপক কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। বাংলা অভিধানে দাড় কাক শব্দটি প্রতারক, বিচ্ছিন্নতাবাদী, পক্ষপাতদুষ্ট, অভদ্র বুঝাতে ব্যবহার হয়।
এই বিলর্বোডে কী বুঝানো হয়েছে- এ প্রশ্ন ছিল নেতাদের কাছে। এ বিলর্বোড র্পূণাঙ্গ কমিটি নিয়ে অভিযোগ করা নেতাদের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ কিনা জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মিয়া বলেন, ‘হতে পারে।’ তিনি বলেন, আমাদের র্পূণাঙ্গ কমিটি হয়েছে আমরাই জানতাম না। আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলোচনাও করা হয়নি।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগরে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের খান বলেন, এগুলো কারা করেছে, কেন করেছে সবারই ভালো করে জানা। তবে এর বেশি তিনি কথা বলতে চাননি।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সমস্যা সমাধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফারুক খান, যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকেও মোবাইল ফোনে চেষ্টা করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।