Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্ব ওলীর বিশ্ব উরস শরীফ লাখো শান্তিকামী মানুষের মহাসমুদ্র বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে শুরু

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী সাহেবের বিশ্ব উরস শরীফের প্রথম দিনে গতকাল শনিবার ফরিদপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিল এখন লাখ লাখ শান্তিকামী মানুষের জমায়েতে পরিনত হয়েছে। আল্লাহর পাগল মানুষের কাফেলার পর কাফেলা আসছে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে। মহাসাম্য, ভ্রাতৃত্ব,পরমত সহিষ্ণুতা সর্বোপরি বহু সাম্পদ্রায়িক সম্প্রীতির অপরুপ মহামিলনমেলা বিশ্ব উরস শরীফ।
২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সূফীবাদের এ মহামিলনমেলায় আল্লাহ ও রাসুল(সা:) প্রেমে মাতোয়ারা লাখ লাখ শান্তিকামী সত্যাশ্রয়ী পরম করুনাময়ের সান্নিধ্য সন্ধানের ধ্যান মগ্নতায় বিভোর। বিশ্বওলী কেবলাজান ছাহেবের আধ্যাত্মিক প্রতিনিধিদ্বয় পীরজাদা আলহাজ্জ খাজা মাহ্ফুযুল হক মুজাদ্দেদী ছাহেব ও পীরজাদা আলহাজ্জ খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী ছাহেব সমবেতদের দফায় দফায় সাক্ষাত ও নসিহত দান করছেন।
৪ দিনের বিশ্ব উরস শরীফে ওয়াক্তিয়া নামাজের সাথে নফল ইবাদত বন্দেগী, তেলাওয়াতে কালামে পাক, দফায় দফায় মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত, রাতের শেষ ভাগে (রাত ৩টা থেকে ফযরের আযানের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত) রহমতের সময় পর্যন্ত পরম করুনাময় আল্লাহর রহমত কামনা ও তদীয় পেয়ারা হাবীব বিশ্ব নবী রাসুলে পাক (সা:) এর স্মরণ এবং মোরাকাবা মোশাহেদা ও জেকের, যোহর, আসর ও মাগরিব নামাজ বাদ মোরাকাবা মোশাহেদা ও জেকের আসকার, এশা নামাজ বাদ রাসুলে পাক (সা:) এর প্রতি নজরানা স্বরূপ দরুদ শরীফ পাঠ এবং প্রতি ওয়াক্তে নামাজ ও নফল আবাদত বন্দেগীর পরে প্রকৃত ইসলামের সুমহান আদর্শ আলোকপাত করে ওয়াজ নসিত অনুষ্ঠিত হবে।
ধামরাইয়ে ধলেশ্বরী নদীর ওপর সেতু দাবি বর্ষায় নৌকা আর শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাকোই ভরসা
ধামরাই (ঢাকা) থেকে মোঃ আনিস উর রহমান স্বপন : ঢাকার ধামরাই ও মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার মধ্যবর্তী বহুতকুল ও খড়ারচর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর ওপর সেতু নির্মানের স্বপ্ন দেখেই যাচ্ছে দুই উপজেলার কয়েকে ইউনিয়নের জনগণ। বর্ষায় নৌকা আর শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাকোই তাদের ভরসা। দুই পাড়ের মানুষের স্বপ্ন কতদিনে পূরণ হবে দিন মাস বছর গুণছে তারা। জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় গেলে শুধুই আশার বাণি শুনিয়ে শান্তনা দিয়ে আসেন যে এখানে একটি সেতু হবেই। সংবাদ সংগ্রহে সরেজমিন নদীর পাড়ে বাঁশের সাকোর কাছে ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার শ্রমিকরা ঘিরে ধরে যে আমাদের এখানে সেতু কবে হবে বলে যান। মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টব ইউনিয়নের মীরেরচর ও ধামরাই উপজেলা রোয়াইল ইউনিয়নের বহুতকুল- খড়ারচরের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ধলেশ্বরী নদী। এক সময় এ নদী বেশ প্রশস্ত ও খড়¯্রােতা ছিল। কালক্রমে একেবারেই খালে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে এ নদীতে তেমন ¯্রােত না থাকলেও বর্ষা মৌসুমে খেয়া নৌকা এবং শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাকো ছাড়া পারাপারের কোন উপায় নেই। এখান দিয়ে প্রতিদিন দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করছে। এ দুই উপজেলার সীমানা এলাকার মানুষ সাধরণত কৃষিনির্ভর হলেও কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ঠিকমতো বিক্রি এমনকি বাজারে নিতে পারছেনা। রোয়াইল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ফরহাদ হোসেন বলেন, খুব কাছেই সিংগাইর উপজেলার প্রধান সড়ক অপরদিকে সাভার উপজেলা সদর। শুধু সেতু এমনকি ভাল রাস্তা না থাকার কারণেই অনেক দূরত্ব মনে হয়। ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম সামসুদ্দিন মিন্টু বলেন, এ জায়গায় নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হোক এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ