বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা ঃ ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরের এমপি ডাঙ্গী গ্রামে ভাঙন কবলিত পদ্মা নদী পারে যাবতীয় মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার। শুক্রবার উক্ত গ্রামের ভাঙন কবলিত পদ্মা রক্ষা বাঁধ প্রকল্পর পাশে জমির মালিক শেখ মোতালেব (৫০) মাটি উত্তোলন করতে থাকলে ইউএনও তা তাৎক্ষনিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে ভাঙন কবলিত পদ্মা পারের জমি থেকে প্রভাবশালীদের মাটি ব্যবসা বন্ধ হওয়াতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার এলাকার আঃ সালাম, হাসেম খান, জব্বার প্রামানিকসহ অনেকেই জানান, “জমি মালিকরা ভাঙন কবলিত পদ্মা পার থেকে যেভাবে মাটির ব্যবসা করে চলছিল, তাতে বর্ষা মৌসুমে নয়, ভারী বৃষ্টিতেও পদ্মা পারে বড় বড় গর্ত থেকে ধ্বস নেমে প্রবল ভাঙন দেখা দিত”। জানা যায়, গত এক মাস আগে চলতি শুস্ক মৌসুমে উপজেলা সদরের এমপি ডাঙ্গী গ্রামে মেইন সড়কের মাত্র ২০ মিটার উত্তর দিকে পদ্মার পারে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বাঁধ প্রকল্প সম্পূর্ণভাবে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে এলাকাবাসী ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। উক্ত পদ্মা রক্ষা বাঁধ প্রকল্প বিলীন হওয়ার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন), ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এম. বজলুল কমির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া, ফরিদপুর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন। কিন্ত গত ক’দিন ধরে পদ্মা নদীর ক্ষতিগ্রস্থ ওই এলাকার কিছু প্রভাবশালী জমি মালিক মোতালেব শেখ, আর্জান মোল্যা, কামাল মোল্যা সহ অনেকে ভাঙন কবলিত পদ্মা পার ঘেষে মাটি উত্তোলন করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এতে এলাকাবাসীর মনে আরও বেশী ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল। শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভাঙন কবলিত পদ্মা পারে মাটি উত্তোলন নিষেধ ও বন্ধ করে দেওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।