পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কাঁচাবাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অধিকাংশ সবজির দাম কমেছে ১০ টাকার কম বেশি। তবে এখনও পেঁয়াজের দাম ৫০/৫৫ টাকার মধ্যে পড়ে আছে। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা ও হাতিরপুল কাঁচা বাজার, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি কাঁচাবাজার ঘুরে খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়। দেখা যায়, শীতের প্রোকপ কমলেও কাঁচাবাজারে শীতের সবজি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় দাম কিছুটা কমেছে।
চলতি মাসের দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের বাজার দর আটকে আছে ৫০-৫৫ তে। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমে গেলে স্থিতিশীল অবস্থায় দাম চলে আসবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
এক হিসেবে দেখা গেছে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আনতে ক্রয়মূল্যসহ প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম দাঁড়াচ্ছে ১৭ টাকা করে। আর এ ১৭ টাকা করে কেনা পেঁয়াজই দেশীয় বাজারে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।
অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে বলে চাষিরা বলেছেন। তবে কিছু চাষ নষ্ট হলেও তা সঙ্কটের পর্যায়ে চলে যায়নি। তারপরও দেশি পেঁয়াজের দর চলছে বাজারে এখন ৫৫ টাকা।
এদিকে স্থিতিশীল পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম না এসে এক জায়গায় থেমে থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, আগে দাম বেশি দিয়ে কিনতেন বলে বেশি দামে বিক্রি করতেন বিক্রেতারা। এখন দাম কমার পরেও কেন বেশি? তবে ক্রেতাদের এমন প্রশ্নের সঠিক কোনো জবাব দিতে পারেননি বিক্রেতারা।
কারওয়ান বাজারের সর্বশেষ পাইকারি বাজারের তথ্য অনুযায়ী গত সপ্তাহের মতোই প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৪২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। হাতিরপুল কাঁচা বাজারের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৫৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা মোহাম্মদ শাকিল বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে ঠিকই, কিন্তু আগের চালানের অনেক পেঁয়াজ রয়ে গেছে। তাই দাম সমন্বয় করে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে দ্রæত দুই প্রকার পেঁয়াজের দাম কমবে বলে আশা রাখছি। হাতিরপুল কাঁচা বাজারের পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতা শামীম বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক ধরনের কথ বলছেন। আসলে তারা চায় না এতো দ্রæত পেঁয়াজের দাম কমুক। আর আমরা বেশি দিয়ে কিনে বেশি দামে তো বিক্রি করবোই।
সবজি বাজারের সু-বাতাস এখনো ক্রেতাদের জন্য বিরাজমান রয়েছে। তবে এর মধ্য দুই-একটি সবজির দাম অবশ্যবেড়ে গেছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। সর্বশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি টমেটো ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, সিম ৪০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক দুই আঁটি ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে প্রতি কেজি শসা ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতি সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও চালের বাজারে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে ক্রেতাদের। চালের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী কেজি প্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, বিআর-২৮-৫২ টাকা, পারিজা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা।
হাতিরপুল কাঁচা বাজারে গতকাল শুক্রবারে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা ক্রেতা রাহাত বলেন, কিছুদিন ভালোই পেঁয়াজের দাম কমে ছিলো। কিন্তু এখন ৫০-৫৫ তে এসে থেমে গেছে। বিভিন্ন সংবাদ মধ্যমে দেখেছি আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমছে, তবে বাজারে এতো বেশি কেন? এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে রসুন, চিনি, আদা, ডালের দাম।
সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০-১২০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। মাছ ও গোশতের দামও রয়েছে গত সপ্তাহেরমতোই। মাছের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি গরুর গোশত ৫০০ টাকা, খাসির গোশত ৭০০-৭৫০ টাকা, প্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালী মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।