বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা, ময়মনসিংহ থেকে: ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধি লঙ্ঘন করে সিন্ডিকেটের দুই সদস্যকে বাদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভেতরে-বাইরে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ১৭(১)(ছ) ও ১৭(২) ধারা মোতাবেক প্রেসিডেন্ট ও চ্যান্সেলর শিক্ষাবিদ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম’কে সিন্ডিকেট সদস্য পদে মনোনয়ন দেন। কিন্তু সম্প্রতি বিধি লঙ্ঘন করে তাকে সিন্ডিকেট সদস্য পদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। আজ বর্তমান ভিসি অধ্যাপক এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট সভাতেও তাকে ডাকা হয়নি। সূত্রমতে, একই পন্থায় ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে বিধি লঙ্ঘনের মাধ্যমে অপর সিন্ডিকেট সদস্য মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন’কেও বাদ দেয়ার হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ১৭(২) ধারা অনুযায়ী, কোন সদস্যের মেয়াদ শেষ হওয়া স্বত্বেও তাঁর স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি পদে বহাল থাকবেন। কিন্তু রহস্যজনক কারনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র ইংরেজী অনুবাদক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম’কে বাদ দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে-বাইরে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম বলেন, আইনে অনুযায়ী আমি পদে বহাল থাকার নিয়ম থাকার পরও যদি আমাকে বাদ দেয়া হয় তাহলে বিষয়টি দু:খজনক। তবে গত কয়েক মাস যাবত কোন ধরনের চিঠি পাচ্ছি না। ফলে আমি সিন্ডিকেটে আছি কিনা, তা জানা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, দুইজন সদস্যকে সিন্ডিকেট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে কিনা, তা আমি অবগত নই। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষ ভালো বলতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্টার কৃষিবিদ ড. হুমায়ন কবীর জানান, সিন্ডিকেট সদস্যদের বাদ দেয়ার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১৭(৪) অনুযায়ী উনি আর দায়িত্বে নেই। এখানে কোন প্রকার বিধি লঙ্ঘন করা হয়নি। আমাদের আইন অনুযায়ীই শুন্য দু’পদে নতুন করে সিন্ডিকেট সদস্য নিয়োগ হবে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুনদের নাম প্রস্তাব করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। এবং সবকিছুই বিধি মেনে করা হয়েছে। তবে এবিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) আব্দুল্লাহ আল হাসান চৌধুরী বলেন, আইন অনুযায়ী স্থলাভিষিক্ত অন্য কেউ দায়িত্ব গ্রহন না করা পর্যন্ত পূর্বের সদস্যই পদে বহাল থাকবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।