Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীর হাতিয়া মেঘনায় ১৭ জেলেকে অপহরণ মুক্তিপণ দাবি

| প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

নোয়াখালী ব্যুরো : হাতিয়া উপজেলার রহমতবাজারের পূর্বদিকে সূর্যমুখি খাল থেকে ইঞ্জিনচালিত দুটি নৌকাসহ ১৭ জেলেকে অপহরণ করেছে নৌদস্যুরা। প্রতিজন থেকে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে দস্যুরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অপহৃতদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান চলছে। অপহৃতরা হলো, উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শূন্যের চর গ্রামের জাকির মাঝি, মিলন মাঝি, হোসেন, সিরাজ, আবদুল, মনির, বেলাল, আকরাম, ৫নং ওয়ার্ডের সোহেল, সাদ্দাম ও হেলাল। এর মধ্যে জাকির ও মিলন মাঝিসহ ১৭জন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে ২০/২৫জন অস্ত্রধারী নৌদস্যু মেঘনার সুর্যমুখী খালের বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরা অবস্থায় জেলেদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। দস্যুরা অস্ত্রেরমুখে ৭/৮টি মাছ ধরা ট্রলার থেকে নগদ টাকা ও মালামাল লুট এবং ১৭ জন জেলেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অপহৃত জেলেদের পরিবারের সদস্যদের কাছে মোবাইল করে প্রতিটি জেলের মাথাপিচু ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে। পরে বিষয়টি বোট মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোষ্টগার্ড ও হাতিয়া থানাকে অবহিত করা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অপহৃতদের উদ্ধার করা যায়নি এবং কোথায় কী অবস্থায় আছে তাও জানা জায়নি। এ নিয়ে অপহৃত জেলেদের পরিবারে চরম উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
কোষ্টগার্ডের হাতিয়া ষ্টেশন কমান্ডার লে. আসিফ মোহাম্মদ আলী আশিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পাওয়ার পর থেকে অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য কোষ্টগার্ডের অভিযান অব্যহত রয়েছে। তবে কোন বাহিনীর সদস্যরা জেলেদের কোথায় নিয়ে গেছে তা তারা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রামগতির সংঘবদ্ব নৌ-ডাকাতচক্র দীর্ঘদিন যাবত মেঘনায় তৎপর রয়েছে। সূযোগ বুঝে এরা জেলেদের নৌকা ট্রলারে ডাকাতি এবং নৌকা ও জেলেদের অপহরন করে থাকে ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ