বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বেড়েছে। এর জন্য দায়ী সিভিল এভিয়েশন এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন এবং ইমিগ্রেশন পুলিশও হয়রানিতে জড়িত। এই বিমানবন্দরে কমপক্ষে নয় খাতে ঘুষ-বখশিসসহ যাত্রীদের হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
টিআইবির উদ্যোগে গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) গবেষণার ভিত্তিতে গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। ‘শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম: যাত্রীসেবা কার্যক্রমে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাফর সাদেক চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন সনাকের সহ-সভাপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া, টিআইবির সাধারণ পরিষদ সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, প্রোগ্রাম ম্যানেজার জুলিয়েট রোজেটি এবং চট্টগ্রাম মহানগরের এরিয়া ম্যানেজার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
এরপর সংবাদ সম্মেলনে সনাক-টিআইবির চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী বলেন, বিমানবন্দরে সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে আছে সিভিল এভিয়েশন, ইমিগ্রেশন, আনসার-এপিবিএন ও বিভিন্ন এয়ালাইনস কর্তৃপক্ষ এবং কাস্টমস। এদের মধ্যে সিভিল এভিয়েশন এবং কাস্টমস সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করে। নিরাপত্তা প্রহরীরা নানাভাবে যাত্রীদের টাকা পয়সার জন্য হয়রানি করে। লিখিত বক্তব্যে যে নয় খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি ও হয়রানির তথ্য সনাক-টিআইবি তুলে ধরেছে সেগুলো হচ্ছে বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় আনসার সদস্যদের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হওয়া। প্রায়ই মালামাল লুকিয়ে রেখে আনসার সদস্যরা ৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বকশিস আদায় করে। একইভাবে যাত্রী বিমানবন্দর ত্যাগের সময়ও আনসার সদস্যরা বকশিস আদায় করেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, যাত্রীরা বের হওয়া সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীরা লাগেজ নিয়ে টানাটানি করেন। অটোরিকশা ঠিক করে দেওয়া কিংবা মালামাল একটু এগিয়ে দেওয়ার নামে ১০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বকশিস আদায় করে। কাঁচি ও আয়রন জাতীয় ধাতব বস্তু এবং শুটকী, ফলমূল, রান্না করা খাবার, কাঁঠালের মতো পচনশীল বন্তু পরিবহনের উপযুক্ত না হলেও ২০০ থেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে সেগুলো পরিবহনের সুযোগ দেন সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা।
বহির্গমন কার্ড পূরণের জন্য যাত্রী বিশেষত প্রবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০টাকা নেন সিভিল এভিয়েশন, ইমিগ্রেশন বিভাগ ও এয়ারলাইনসে কর্মরতরা। ইমিগ্রেশন বিভাগের টাকা আদায়ের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে গবেষণা প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, ভিজিট ভিসার মাধ্যমে যারা মধ্যপ্রাচ্যে যান তাদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়। ভিসার মেয়াদ কম, ছবি ঠিক নেই এসব অজুহাতেও প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। ১০০ টাকা কিংবা ২৫ মার্কিন ডলারের বেশি মুদ্র আটকের এখতিয়ার কাস্টমস কর্তৃপক্ষের থাকলেও চূড়ান্ত চেকের সময় নিরাপত্তা কর্মীরা সেগুলো জোরপূর্বক কেড়ে নেন বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।