রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল : কৃষি প্রধান এলাকা চান্দিনার অন্যতম ফসল ধান। এখানকার হেক্টরপ্রতি গড়ে ফলন মাত্র ৪.৮ টন। দেশে খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির মাধ্যমে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি একটি অন্যতম কর্মসূচি। তারই অংশ হিসেবে দেশের অন্যান্য উপজেলার ন্যায় চান্দিনা উপজেলায় আধুনিক বীজ বপন যন্ত্র ড্রাম সিডার সরবরাহ করা হয়েছে।
কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ জানায়, সরকার ২০০৬ সালে আধুনিক বীজ বপন যন্ত্র ড্রাম সিডার সরবরাহ করেছে। অন্যান্য জেলা ও উপজেলায় সংখ্যায় অনেক বেশি পেলেও তার অংশ হিসেবে চান্দিনায় ২৮টি যন্ত্র পায়। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এর প্রদর্শনী হলেও গত ১২ বছরে মাঠে এর ব্যবহার তেমন দেখা যায়নি। স্থানীয় এক কৃষিবীদ জানান, এ অঞ্চলের কৃষকের জমিতে আউশ ও বোরো মৌসুমে ড্রাম সিডারের মাধ্যমে বীজ বপন করার কথা থাকলেও কৃষকরা এটি ব্যবহারে আগ্রহী নয়। তা ছাড়া এ অঞ্চলের জমি ও ফসলের জন্য প্রস্তুতকৃত ক্ষেত ড্রাম সিডার ব্যবহার উপযোগী নয় বলেও অভিমত প্রকাশ করেছেন কয়েকজন কৃষি বিশেষজ্ঞ। তাঁরা এর কারণ হিসেবে এ অঞ্চলে চাষাবাদে জমিতে বীজ বপনের সময় অতিরিক্ত পানি জমে থাকায় তাতে ড্রাম সিডার ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলে জানান। এটি ব্যবহার করতে হলে জমির কোথাও পানি জমে থাকতে পারবে না। তাছাড়া ভূমিও মতল হতে হবে। ফলে এ এলাকার কৃষকেরা প্রমে বীজতলা তৈরী করে। পরে বীজ বুনে ধানের চারা হওয়ার পর তা তুলে জমিতে রোপন করে থাকে। জমি ও পরিবেশ ভেদে আউশ, আমন ও বোরো মৌসুমে এর ব্যবহার কথা থাকলেও বিশেষ করে দুটি মৌসুমে ড্রাম সিডার ব্যবহার উপযোগী বলে দাবি করেছে কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ। এ বিভাগের মতে আউশ ও বোরো মৌসুমে এর ব্যবহার করা যেতে পারে।
কৃষি স¤প্রসারণকে দেয়া এ ড্রাম সিডার কৃষক তার ফসলি জমিতে ফসল বুননের কাজে বিনামূল্যেই ব্যবহার করতে পারবে। এর সার্বিক তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার ওপর। চান্দিনা উপজেলার কোনো উপজেলায় কৃষক গত ১২ বছর এ ড্রাম সিডার ব্যবহার করেনি বলে জানা গেছে। গত ১২ বছর ধরে ওই ড্রাম সিডার সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মাকর্তার কার্যলয়ে পড়ে রয়েছে। ড্রাম সিডার যন্ত্র ব্যবহার সম্পর্কে আলাপকালে উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর এলাকার কৃষক রমিজ উদ্দিন জানান, তিনি কখনো এ যন্ত্র দেখেননি এবং সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। ভাঙ্গুড়াপাড়া গ্রামের কৃষক আবদি মিয়া জানান, পুরনো কৃষক হলেও তিনি কখনো এর নাম শোনেননি। কাদুটি গ্রামের মিজান মিয়া বলেন, দেখাতো দূরের কথা নামও শুনেননি। তবে চান্দিনার পৌর এলাকার কৃষক লতিফ মিয়া জানান, তিনি একদিন পৌরসভার সামনে প্রদর্শনিতে এ যন্ত্র দেখে ছিলেন। তবে এ সম্পর্কে তার তেমন কোনো ধারণা নেই।
এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, কৃষকরা ড্রাম সিডার ফসলি জমিতে ফসল বুননের কাজে বিনামূল্যেই ব্যবহার করার সুযোগ থাকলেও চান্দিনার কৃষকেরা ড্রাম সিডার ব্যবহার করা ঝামেলা মনে করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।