বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট ব্যুরো : ‘সিটি কর্পোরেশনের অঙ্গীকার, নগর হবে পরিষ্কার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মাসব্যাপী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়।
সিটি কর্পোরেশন থেকে প্রায় দেড়শ’ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মি, ৪০টি গাড়ি, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি এ অভিযানে নামেন। সিটি কর্পোরেশন এলাকা থেকে অভিযান শুরু করে কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজারের অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জিন্দাবাজার পয়েন্ট, চৌহাট্টা হয়ে হযরত শাহজালার (রহ.) এর মাজার এলাকায় ড্রেন পরিস্কার কাজের মাধ্যমে মাসব্যাপী এ অভিযানের সূচনা করেন মেয়র। অভিযান চলাকালে রাস্তার দু’পাশ দখল করে ব্যবসা পরিচালনাকারী হকারদের মালামাল আসবাবপত্র তোলে নেয়া হয়। এসময় হকার ও ফুটপাত দখলকারী ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। হকাররা হুড়োহুড়ি করে যতটুকু সম্ভব তাদের পণ্য হেফাজতে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এসময় সিটি কর্পোরেশনের পরিচন্ন কর্মিরা ফুটপাত থেকে চেয়ার টেবিল, বেঞ্চসহ পণ্য নিয়ে ট্রাকে করে নগর ভবনে নিয়ে যান। সাথে সাথে তারা অবৈধ স্থাপনাগুলোও ভেঙ্গে ফেলেন। এক সাথে চলে পরিচ্ছন্নতার কাজও। পরে আম্বরখানা পয়েন্ট রিকাবিবাজার, লামাবাজার, কাজিরবাজার সেতুর মোড়, তালতলা ভিআইপি রোড ও কিনব্রিজ মোড় এলাকায়ও অভিযান চালানো হয়। এছাড়া জেলা পরিষদের সামনের সড়ক, সিটি পয়েন্টের আশপাশ, বন্দরবাজার ও সিলেটের প্রধান ডাকঘর এলাকার ফল ব্যবসায়ীদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এরপর নগরীতে যত্রতত্রভাবে সাটানো গেইট, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করা হয়।
অভিযান শেষে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, নাগরিকদের পাশাপাশি হকারদেরকেও আইন মানতে হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান মেয়র। মেয়র জান ান, আগামী এক মাস প্রতিদিন এ অভিযান চলবে। নগরীর ড্রেনগুলো পরিস্কার করা হচ্ছে। পাশাপাশি ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনাগুলোও উচ্ছেদ করা হবে।
অভিযানে সিসিকের সচিব মোহাম্মদ বদরুল হক, কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল, আফতাব হোসেন খাঁন, আব্দুল মুহিত জাবেদ, আব্দুর রকিব তুহিন, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, শামছুল হক পাটোয়ারী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান, কর কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন, লাইসেন্স কর্মকর্তা জাহাঙ্গির আলম, উচ্চমান সহকারী মো. মুহিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।