বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের নামে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশ নিরীহ লোকজনকে আটক করে গ্রেফতার বাণিজ্য চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশের সাজানো বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় লোকজনকে ফাঁসিয়ে হয়ারনীসহ গ্রেফতার বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। উক্ত দিন পুলিশ প্রথম দফায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে অনেকে লবন শ্রমিক, দিন মজুর, বিদেশ ফেরত লোককে আটক করে মামলায় জড়িয়ে হাজতে চালান দেয়।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার সময় এয়াকুব নামের এক লবন শ্রমিক ইন্দপোল এলাকা থেকে কাজ সেরে বাসায় ফেরার পথে পুলিশ তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মামলায় ফাসিয়ে দেয়। পটিয়া পৌরসভার দক্ষিণ গোবিন্দারখীল এলাকার আবদুল মন্নানের আজিজুল হক নামের এক পুত্র ২০ ডিসেম্বর বিদেশ থেকে দেশে আসে। ৫ জানুয়ারি তার বিয়ে হয়। কিন্তু তাকে সহ তার ভাই জাবেদকে পুলিশ ৫ ফেব্রুয়ারী রাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে উক্ত মামলায় আসামী করে দেয়। এভাবে ২১ জনের মধ্যে অনেকে ছিল নিরীহ। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২য় দফায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরো ১০ জনকে আটক করে এদের মধ্যে আজিমুদ্দিন প্রকাশ সাব্বির (১৯) সে পটিয়া হুলাইন ছালেহ নুর কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র। আগামী এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিতব্য এইচ এস সি পরীক্ষার্থী। পুলিশ তার পটিয়া পৌরসভাধীন আল্লাই নিজ বাড়ী থেকে ৯ ফেব্রুয়ারী রাতে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে উক্ত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার মা বুলবুল আকতার থানায় গেলে, থানার এস আই সৈয়দ মোশাররফ হোসেন ১ লাখ টাকা দাবী করে। দাবি মত টাকা না দেওয়ায় তাকে মামলায় ফাঁসায় বলে তার মায়ের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে পটিয়া পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জানান, সাব্বির তার আত্মীয় হওয়ায় এবং তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না থাকায় সে এস আই মোশাররফকে সাব্বিরকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালেও দাবী মত টাকা না পাওয়ায় তার অনুরোধ রাখেনি।
পটিয়া থানার দায়েরকৃত উক্ত ৫নং মামলায় ৮৯ জন এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামী করা হয়। পুলিশ গত ১০ ফেব্রুয়ারী থেকে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে লোকজন ধরে এনে গ্রেফতার বাণিজ্য চালাচ্ছে। পুলিশের দাবী মত টাকা না দিলে উক্ত মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। যাদের থেকে টাকা পাচ্ছে তাদেরকে জামিন পায় মতো ৩৪ ধারায় কোর্টে চালান দেয় বলে সূত্র জানায়। গত ৪ দিনে এভাবে ৫/৬ জনকে ৩৪ ধারায় চালান দেয়া হয়েছে। পটিয়া থানার এস আই সৈয়দ মোশাররফ হোসেন থেকে জানতে চাইলে তিনি টাকা দাবির বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।