পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিবে ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো। বিএনপি ঘোষিত যে কোন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন এসব দলের নেতাকর্মীরা। প্রয়োজনে আগামীতে জোটগতভাবেও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল (রোববার) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শেষে তিনি এসব তথ্য জানান। বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ২০ দলীয় জোটের এই সভায় দেশনেত্রীর মুক্তি দাবিতে বিএনপি যে কর্মসূচিগুলো গ্রহণ করেছে, সেই কর্মসূচির প্রতি তারা একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। তারা এই সব কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন। এই আন্দোলনে অদূর ভবিষ্যতে ২০ দলীয় জোট থেকে কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি। ফখরুল বলেন, জোটের সভায় দেশনেত্রীর সাজা ও তাকে কারাগারে নেওয়ায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানানো হয়েছে। অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপশি বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের গ্রেফতার সব নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবিও জানানো হয়। খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ায় এখন জোটের নেতা কে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, দেশনেত্রীই হচ্ছেন ২০ দলীয় জোটের নেত্রী। এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই। আমি জোটের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছি। বিএনপির চেয়াপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিকাল ৫টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক হয়। লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান টেলিফোনে জোট নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়েছেন বলে বিএনপি মহাসচিব জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনগণের একটি জোট-প্ল্যাটফর্ম তৈরির কথা বলেছেন। খালেদা জিয়া সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনেও জাতীয় ঐক্যের আহŸান রেখেছিলেন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, এই জোটের ঐক্যকে আরও প্রসারিত করার জন্যে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলা হবে।
এর আগে মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী। শরিক দলগুলোর মধ্যে বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকীব, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) রেদোয়ান আহমেদ, সাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রেহানা প্রধান, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য আব্দুল হালিম, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) খন্দকার গোলাম মূর্তজা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, লেবার পার্টির একাংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, অপর অংশের হামদুল্লাহ আল মেহেদি, জমিয়তে উলামা ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, মাওলানা শাহিনুর পাশা, মাওলানা রেজাউল করীম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ইসলামিক পার্টির সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাইফুদ্দিন মনি উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।