Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বানারীপাড়ায় ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

| প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বানারীপাড়া (বরিশাল) থেকে এস মিজানুল ইসলাম: বানারীপাড়ার ইট ভাটার মালিকরা মানছে না ইট তৈরী ও ভাটা স্থাপন আইন। উপজেলার দু’একটি ইট ভাটার মালিক ছাড়া অন্যরা নিজেদের ইচ্ছা মত সংরক্ষিত, আবাসিক ও বানিজ্যিক এলাকা, জলাভুমি, কৃষি জমি এবং পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় ইট ভাটা স্থাপন করছেন। ইট ভাটা স্থাপন এবং ইট তৈরীর শর্ত সমূহ মালিকরা মানছেন না। বানারীপাড়ার ভাটা মালিকরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ আবাসিক এলাকায় অনুমতি ছাড়াই ইট ভাটা স্থাপন করেছেন। আবার অনেকে লাইন্সেস বিহীন টিনের চোঙ্গা ও কোন রকম দায় সাড়া চোঙ্গা বসিয়ে চলাচ্ছে একাধিক ইট ভাটা। ইট ভাটায় কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরির ক্ষেত্রে নিষেধ্াাজ্ঞা থাকলেও ইট ভাটায় পোড়ান হচ্ছে মূল্যবান বনজ ও ফলজ গাছ। ভাটার ধুলো বালি, কালো ধোয়া ও আগুনের তাপে ধ্বংস হচ্ছে নিকটবর্তী এলাকার সবুজ বনজ সম্পদ এবং মাতৃত্ব হারাচ্ছে ফলজ গাছ। কিছু দিন আগে যে জমিতে সোনালি ধান দক্ষিনা বাতাসে দুলতো এখন সে সব জমি ইট ভাটার তাপে উর্বরতা হারিয়েছে। শ্বাস কষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন ভাটার পার্শ্ববর্তী এলাকার শিশু সহ প্রাপ্ত বয়স্করা। বির্পযয়ের মুখে পতিত হচ্ছে জনস্বাস্থ্য। লোকালয়ের নিকটবর্তী হওয়ার কারনে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারন মানুষের। এমনকি প্রায় সবগুলো ইট ভাটায় শিশু আইনও মানা হচ্ছে না। অল্প পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ৯-১০ বছরের শিশুদের দিয়ে ইট তৈরীর কাজ করানো হচ্ছে। খবর নিয়ে জানা যায়, বানারীপাড়া উপজেলায় ২৩টি ইট ভাটা রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝে মধ্যে এলাকায় আসলেও কোন প্রতিকার হচ্ছে না। দু’একবার নোটিশ কোন কোন ইট ভাটার মালিককে দেয়া হয়েছে শোনা গেলেও পরবর্তীতে রহস্য জনক কারনে যে অবস্থা ঠিক তাই থেকে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ