পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে বলে হুশিয়ার করে দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ কারাগারে রাখা হয়েছে। যেটিকে সরকার ইতোমধ্যে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেছে। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে একা, সাধারণ কয়েদিদের মতো রাখা হয়েছে। দেয়া হচ্ছে নিম্ন মানের খাবার, দেয়া হয়নি তার প্রাপ্য ডিভিশনও। ওই পরিত্যাক্ত কারাগারে খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয় তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। গতকাল (শনিবার) রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণ অন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন। বিএনপি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন ঐক্যবদ্ধ রয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলের সব নেতারা এখন ঐক্যবদ্ধ, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সারাদেশেই নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছেন। মিথ্যা মামলায় দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে কারাদন্ড দেয়ায় দেশবাসী সরকারকে ধিক্কার দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন। তিনি কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে ডিভিশন না দেয়ার নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি করেন। মির্জা ফখরুল জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘিরে সারাদেশে চার হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি সবার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
এরআগে রাত সোয়া সাতটার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে দলের সিনিয়র নেতারা বৈঠকে বসেন। এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাব হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মেজর জেনারেল (অব) রুহুল আলম চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. আবদুল কাইয়ুম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, গোলাম আকবর খন্দকার, প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, এম এ হক, অ্যাড তৈমুর আলম খন্দকার, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, ডা. ফরহাদ হোসেন ডোনার। যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন এ্যানি চৌধুরী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।