Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বাচ্চাদের আগ্রহ কল্পবিজ্ঞানে

| প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

এহসান আব্দুল্লাহ : বই কি শুধু বড়দের জন্যই। বড়দের বইয়ে কিসব শব্দ লিখা থাকে কিছু বুঝা যায়না। আর কত ওজন। আচ্ছা ঐ বইয়ের পাতাটা দিয়ে একটা প্লেন বানালে কি হয়! এই বইয়ে একটা ছবিও নেই, পচা বই এটা। বই নিয়ে এমন কত কৌতুহল, অভিমান আর অযুহাত করে থাকে ছোট্ট সোনামণিরা। তারপরও নতুন কোন বই হাতে পেলে তারা যেন আকাশেন চাঁদ হাতে পায়। উল্টেপাল্টে দেখে নেয় বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা। বইয়ে কোন রাজা রাণী আর ডাইনি বুড়ির গল্প আছে কিনা, কোন কার্টুন আঁকা আছে কিনা। তার বইটির কালার কতটা সুন্দর অন্যদের বইয়ের থেকে, এরকম আরো কত খুটিনাটি। সোনামণিদের এতসব কৌতুহলের চাহিদা মিটাতে বইমেলায় আলাদা করে পরিবেশনা করা হয় শিশু চত্বরের। আর এই শিশু চত্বরকে আরো রাঙ্গিয়ে তোলে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনগুলোতে একাডেমির ঘোষনা করা শিশুপ্রহর। গতকাল ছিল শিশুপ্রহর। শিশু প্রহরে শিশুদের জন্য আয়োজন করা হয় নানা প্রতিযোগীতার। পুরো মেলা উন্মুক্ত করে দেয়া হয় তাদের জন্য। বাবা মায়ের হাত ধরে তারা ঘুরে দেখে পুরো বইমেলা। আর এ স্টল থেকে ঐ স্টল খুজে বেড়াতে থাকে তাদের পছন্দের বই।
এছাড়াও চত্বরের মাঝখানে তৈরী করা সিসিমপুর মঞ্চে উঠে লাফঝাপ আর হৈ চৈ তো আছেই। গতকালের বইমেলা ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ শিশুদেরই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল কমিক্স ও কল্পবিজ্ঞানের বই। পুরনো যাদুকরের বই বা রুপকথার রাজা রানীর বইতে যেন আগ্রহ ফিঁকে হয়ে আসছে এখনকার শিশুদের। রোবট, এলিয়েন আর বিশাল বিশাল আকাশযানের কার্টুন বা কমিক্সই এখন তাদের টানছে।
এর কারন জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, শিশুরা এখন আগের মতো ঠাকুরমার ঝুলি বা মিনা কার্টুনে আসক্ত হয়না। এখন তারা রোবট, প্লেন এলিয়েন নিয়েই ব্যস্ত থাকে। এগুলো আসলে আমাদের দেশি ঐতিহ্য বা সাহিত্যগুলো তাদের কাছে সঠিকভাবে উপস্থাপিত হচ্ছেনা বলেই এরকম হচ্ছে।
ধানমন্ডি থেকে আসা বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ রাইফেলস স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আরিফ ইমতিয়াজ বলেন, আমি বইমেলায় এসে একটা এলিয়েনের বই কিনেছি। এলিয়েনের বই কেন কিনেছে তা জানতে চাইলে সে বলে, ঐ যে এলয়েনটা পৃথিবী আক্রমন করে তারপর রোবকপ যেয়ে তাদের ঢিসুম ঢিসুম মার দেয়। আমিও এরকম এলিয়েনদের ঢিসুম ঢিসুম মার দিব।
মেলায় আসা নুজহাত তন্নী নামে এক অভিভাবক বলেন, আসলে বিদেশী চ্যানেল ও প্রযুক্তির কাছে হেরে গিয়ে আমরা এখন বাচ্ছাদের ঐসব গল্পগুলোর দিকে ঠেলে দিচ্ছি। এখনকার বাচ্চারা এতটা এডভান্স যে সাইন্স না থাকলে ঐ গল্পকে তারা আমলে নিতে চায়না। তারা যাদুকরের গল্পেও রোবটের অস্তিত্ব পেতে চায়। আমাদের সময়কার ঠাকুরমার ঝুলি, মিনা কার্টুন এদের টানেনা। এরা সারাক্ষন বিভিন্ন রোবটের কার্টুন দেখতে দেখতে মস্তিষ্কটাই ঐরকম চিন্তা করা শুরু করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিজ্ঞান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ